উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : উত্তরাঞ্চলে বিনামূল্যে ফিস্টুলা রোগীর অস্ত্রপাচারের সুবিধা রয়েছে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলার একটি রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান হাসপাতাল কতৃপক্ষ। সভায় জাননো হয়, নারীর জনন অঙ্গের ফিস্টুলা প্রতিরোধযোগ্য। বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা পেতে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানকার ব্যবস্থাপত্রসহ ল্যাম্ব হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে বিনামূল্যে অস্ত্রপাচার করা হয়। সভায় নীলফামারী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান সবুজের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন ল্যাম্ব হাসপাতালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহতাব লিটন, উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. তাহমিনা সোনিয়া, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. হাফিজ মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, ল্যাম্বের জেলা সমন্বয়কারী মনজু আরা বেগম প্রমুখ। প্রকল্প কর্মকর্তা মাহতাব লিটন জানান, বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে ভুগছেন। প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার নারী আক্রান্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ২ হাজার। উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলায় ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ রোগির চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
ল্যাম্বের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. তাহমিনা সোনিয়া জানান, নারীদের বিলম্বিত প্রসব বা বাধাগ্রস্ত প্রসব, বাল্য বিবাহ এবং কম বয়সে বাচ্চা নেয়া, জরুরী প্রসূতি সেবার অভাব, তলপেটে বা জরায়ুতে অপারেশন, অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে ডেলিভারি কারণে ফিস্টুলার সৃষ্টি হয়। এতে করে নারীর মাসিকের রাস্তারসাথে মূত্রথলী অথবা মলাশয় এক বা একাধিক ছিদ্র হয়ে যুক্ত হয়। যার ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সবসময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝড়তে পারে। তিনি বলেন,‘ আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা সেবা নিতে অনিহা প্রকাশ করে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েন রোগীরা। এক থেকে দুইবার অপারেশনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ল্যাম্ব হাসপাতালে বিশেজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অবহেলা না করে রোগমুক্তিতে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসা শেষে রোগীদের পুণর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।’
উত্তরণবার্তা/এআর