মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:৩১

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ দিনে পিরোজপুরে গঠিত হয়েছিল মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদ

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ দিনে পিরোজপুরে গঠিত হয়েছিল মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : অগ্নিঝরা ৭১ এর মার্চের ১২ তারিখে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী পিরোজপুরে গঠন করা হয়েছিল মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদ। ৭ সদস্যের মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদের মধ্যে আজ আর কেউ জীবিত নেই। এছাড়া একই দিনে গঠিত সে সময়ের পিরোজপুর মহাকুমার ৮টি থানা ও ১টি পৌরসভার ৬৩ জন সদস্যেরও কেউ জীবিত নেই। 
 
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন যে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো। সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তে রেসকোর্সের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের পিরোজপুরের সকল সদস্যবৃন্দ। পিরোজপুরে ফিরে এসে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা শহরের পাড়েরহাট সড়কে মহাকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য এডভোকেট এনায়েত হোসেন খানের বাস ভবনে ১২ মার্চ এক সভায় মিলিত হয়ে মহাকুমা এবং মহাকুমার ৮ টি থানা ও একটি পৌরসভার সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন এডভোকেট এনায়েত হোসেন খান এম এন এ। মহাকুমা সংগ্রাম পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এডভোকেট সামসুল হক এম,এন,এ ডাঃ আব্দুল হাই এম,পি,এ ডাঃ ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল এম,পি,এ মোঃ নুরুল ইসলাম ভান্ডারি এম,পি,এ। এছাড়া মহাকুমার দুজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ বদিউল আলম চৌধুরী ও আজিজুর রহমান সিকদারকেও এ পরিষদের সদস্য করা হয়। সংগ্রাম পরিষদ গঠন শেষে পাড়েরহাট সড়কে শতশত ছাত্র-জনতার করতালী ও গগন বিদারী স্লোগানের মধ্যে এনায়েত হোসেন খান মহাকুমা থানা ও পৌর সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন। এ সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বেই পিরোজপুরে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে এ পরিষদের নেতৃত্বেই ছাত্র জনতা ঝাপিয়ে পড়ে সর্বাত্মক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। 
 
সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সময়ের স্মৃতিচারণ করে সে সময়ের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ডাঃ ক্ষিতিষ চন্দ্র মন্ডল ২০১৯ সালে এ প্রতিবেদকের কাছে স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন আমরা ৭ মার্চের জনসভা শেষে রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও তার বাসভবনের সামনে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতির কারণে সাক্ষাৎ করতে পারিনি। পরদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হলে তিনি আমাদের সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দানের পাশাপাশি আরোকিছু প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন। পিরোজপুরে সংগ্রাম পরিষদ গঠনই ছিল এ মহাকুমার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধেও সূচনাপর্বর্ । প্রবীণ আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত এম. এ মান্নান জানিয়ে ছিলেন, সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সাথে সাথেই পিরোজপুরে হাজার ছাত্র জনতার মিছিল শুরু হয়। এ মিছিলের স্লোগান ছিল তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা মেঘনা যমুনা, বীর বাঙ্গালী অস্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর। 
উত্তরণবার্তা/এসএ

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK