শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:০০

তিন পেসার খেলাতে চান চম্পাকা

তিন পেসার খেলাতে চান চম্পাকা

উত্তরণ বার্তা ক্রীড়া ডেস্ক : এইচপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ চম্পাকা রমানায়েকে চান, চট্টগ্রামেও তিনজন পেসার খেলাতে। নির্বাচকরা রাজি না হলে ন্যূনতম দু'জন তো খেলাবেনই। আয়ারল্যান্ড এইচপির বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় চার দিনের একমাত্র ম্যাচে স্বাগতিক এইচপি একাদশে শেষ পর্যন্ত তিন সিমার রাখা হলে কোচের সাহসী সিদ্ধান্তের জয় হবে।

জাতীয় দল নির্বাচকরা কোচের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেট চলে মুখস্থ ফরম্যাটে। দেশে খেলা হলেই স্পিন কন্ডিশনে নামিয়ে দেয়া হয় ক্রিকেটারদের। এভাবে খেলে এত বছর সফলও হয়েছে দল। তাই ঘরের মাঠে বিদেশি দলের সঙ্গে যে কোনো পর্যায়ের খেলায় অলস্পিন অ্যাটাক নিয়ে নামে স্বাগতিক দল। এই কৌশল নিয়ে সাফল্য পাওয়ায় এতদিন প্রশ্ন ওঠেনি। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই টেস্টের সিরিজে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ হওয়া বিকল্প ভাবনার খোরাক দিয়েছে বিসিবি কর্মকর্তাদের। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন কৌশল খোঁজার কথা বলেছেন। চম্পাকার নিজের কৌশল বাস্তবায়ন করতে পারলে বিসিবি সভাপতির ইচ্ছাও পূরণ হবে তাতে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উইন্ডিজকে রেকর্ড ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও টেস্টে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ভেন্যুতেই আয়ারল্যান্ড এইচপির বিপক্ষে বিসিবি এইচপির একমাত্র চার দিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত। যে দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী।

আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় এই সিরিজে জয়-পরাজয়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলটিকে গড়ে তোলা। কোচ চম্পাকাও সেটাই ভাবছেন, 'যেহেতু ছেলেরা তরুণ, শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা নেই, এই সিরিজ দিয়ে ম্যাচ খেলার মেজাজ তৈরি করার দারুণ সুযোগ তাদের। কন্ডিশন ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কীভাবে ভালো খেলতে হয়, সেটা শিখতে পারবে। আমি চাই তিনজন সিমার খেলাতে, যাতে করে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়েও লড়াই করতে শিখতে পারে তারা। কারণ পেসারদের সুযোগ না দিলে কোনো দিনই শিখবে না।'

এইচপি স্কোয়াড এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। করোনাকালে কন্ডিশনিং ক্যাম্প এবং বিসিবির টুর্নামেন্টে খেললেও এই প্রথম বিদেশি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবে তারা। নতুন এইচপি স্কোয়াডের চার দিনের ম্যাচও প্রথম। তাই ফলাফলের চেয়েও ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের শেখার জন্য ভালো সুযোগ সিরিজটি। চম্পাকার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিসিবির জাতীয় নির্বাচক প্যানেল সহমত নাও হতে পারে। কারণ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কাজে লাগানোর অজুহাত রয়েছে ক্রিকেট কর্মকর্তাদের সামনে। অথচ নিজেদের পছন্দের কন্ডিশন বানিয়েও আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। তাই বিকল্প কিছু পরখ করে দেখার সুবর্ণ সুযোগ এটি। চম্পাকা যেমন বলছেন, 'একই কৌশলে খেলার অসুবিধা রয়েছে। স্পিননির্ভর হয়ে থাকলে প্রতিপক্ষও পাল্টা আক্রমণের কৌশল নেবে। কারণ তারা জানে, উপমহাদেশ মানেই স্পিনে খেলা। এশিয়ার বাইরের দলগুলো তাই কৌশলেও পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন তারা উপমহাদেশে আসে পেস ও স্পিনে ভারসাম্য রেখে। আমাদেরও বোলিং ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। তাই জাতীয় দলের কৌশল সেট করতে হলে এইচপিই হলো পরীক্ষার ক্ষেত্র। ম্যানেজমেন্ট রাজি হলে আমি এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।' বিসিবির অনুমোদন নিয়ে এইচপির অন্তরালে 'এ' দল নিয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ড। স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পেলে এই দলের বিপক্ষেও ভালো করার সুযোগ থাকবে।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK