শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০১:৫৯

কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে চলছে বোরো আবাদ

কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে চলছে বোরো আবাদ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক :  জেলার কাপ্তাই হ্রদ সংলগ্ন জেগে উঠা বিভিন্ন জলে ভাসা জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছে হ্রদের পাশে বসবাসরত চাষিরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার জেগে উঠা চরে এখন প্রায়ই দৃশ্যমান চাষিদের বোরো ধানের সবুজের সমারোহ।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়  এবার প্রায় ৮২০৫ হেক্টর জমিতে  বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে । এতে উফশী ধানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩৪০ মেট্রিক টন  এবং  হাইব্রীড জাতের ধানের উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৩২৫ মেট্রিক টন। বর্তমানে বোরো ধানের আবাদের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ ভাগ সস্পন্ন হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।  
জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, কাপ্তাই এবং বিলাইছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা সংলগ্ন হ্রদের বেশ কিছু অংশে এখন দেখা মিলছে বোরো ধান। এছাড়া বোরো ধানের সবুজ আবরণে ছেয়ে গেছে কাপ্তাই হ্রদের চারপাশ। এযেন সবুজের সাথে হ্রদ পাহাড়ের অপূর্ব মিতালি। চারদিকে বোরো ধানের চারা লাগানোর সমারোহ। সেইসাথে বর্তমানে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় চাষিরা। কেউ কেউ কাপ্তাই হ্রদের পাশে জেগে ওঠা এ ছোট বড় চরগুলোকে চাষের উপযোগী করে তুলছেন আবার অন্যদিকে অনেক চাষি সেইসব চরে বোরো ধানের চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমির চাষি  মংবাচিং মারমা, সমিরন তঞ্চঙ্গ্যা, সুমি বেগমসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা অনেকেই কাপ্তাই হ্রদে শুষ্ক মৌসুমে জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বিশেষ করে জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদ করে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, হ্রদের এ জলে ভাসা জমিগুলো পলি ভরাট থাকার ফলে লাঙ্গল ছাড়াই চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া মাটি নরম থাকার ফলে পরিশ্রম যেমন কম হয় তেমনি চাষাবাদে খরচও অনেকটা সাশ্রয়ী হয়।
কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা জমিতে চাষাবাদে জড়িত চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে কৃষিবিভাগ।বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি চাষিদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
উত্তরণবার্তা/ডেল

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ