বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২২:০০

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহবান জানান।
 
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের অবস্থান শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ কথা জানান। বাংলাদেশ ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সম্পর্ককে ‘দৃঢ় ও অনন্য’ বলে অভিহিত করেন।
 
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতে অবস্থাকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন।
 
বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দুদেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহারের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তাতে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
 
গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহণের বাণিজ্যিক অনুমতি পেয়েছে ভারত। ২০১৮ সালে ভারতে এসিএমপি (চট্টগ্রাম এবং মোংলা পোর্ট) চুক্তি স্বাক্ষর করে ঢাকা ও দিল্লি। এর আওতায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ। পানিবণ্টন চুক্তিসহ দুদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। 
 
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। গত দেড় দশকে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক বেড়েছে। উভয় দেশের জনগণ তার সুফল ভোগ করছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে; যা দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সচিবরা এবং ডেপুটি হাইকমিশনার বিনয় জর্জও উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK