সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:১৮
ব্রেকিং নিউজ

পর্তুগালের সামনে আফ্রিকান সিংহ মরক্কো

পর্তুগালের সামনে আফ্রিকান সিংহ মরক্কো

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : মরুর বুকে স্বপ্নযাত্রা চলছে মরক্কোর। স্মরণীয় সে যাত্রায় স্পেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শেষ আটে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে তারা। তবে আরও বড় ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে হাকিমি-জিয়াসরা। আজ পর্তুগালকে হারাতে পারলে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিতে খেলবে 'অ্যাটলাস লায়ন্স'। এজন্য অবশ্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের। তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল যে উড়ন্ত ছন্দে রয়েছে। শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে ভাবা হচ্ছে রোনালদো-ফেলিক্সদের। আল থুমামা স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হবে দু'দল।
 
তারকায় ঠাসা পর্তুগালকে একটুও ভয় পাচ্ছে না মরক্কো। এর পেছনে মূল কারণ হলো, আফ্রিকার দলটির সুশৃঙ্খল রক্ষণভাগ। আশরাফ হাকিমি, রোমান সাইস, নায়েফ আগুয়ের্দ ও নোসাইর মাজরাউইকে নিয়ে গড়া রক্ষণ এবারের বিশ্বকাপে এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি। তাঁদের বিপক্ষে একটি মাত্র গোল হয়েছে, সেটিও আত্মঘাতী। আর গোলপোস্টের নিচে রয়েছেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইয়াসিন বোনো। যাঁকে পেনাল্টি শুটআউটেও স্পেনের কেউ পরাস্ত করতে পারেননি। তাঁর নৈপুণ্যেই প্রথমবারের মতো শেষ আটে নাম লেখায় মরক্কো। অ্যাটলাস লায়ন্স (সিংহের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ভয়ংকর উত্তর আফ্রিকার এই সিংহ) হিসেবে পরিচিত দেশটির সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা।
 
মরক্কোর এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর হলেন কোচ ওয়ালিদ রাগরেগুই। মরক্কো চতুর্থ আফ্রিকান দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল খেললেও রাগরেগুই হলেন প্রথম আফ্রিকান কোচ, যিনি কিনা দলকে শেষ আটে নিয়ে গেছেন। অথচ তিনি মরক্কোর দায়িত্ব নেন মাত্র চার মাস আগে, গত আগস্টে। মরক্কো ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে জাতীয় দলের বসনিয়ান কোচ ভাহিদ হালিহোদিচকে ছেঁটে ফেলার পর তাঁকে হুট করেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ জিততে পারলে মরক্কো ফুটবল দলটির সঙ্গে তিনিও অমর হয়ে যাবেন। ৪৭ বছর বয়সী এ কোচের অদম্য মানসিকতাই দলটির বড় শক্তি। তবে এ সাফল্যের জন্য খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কাতার প্রবাসী মরক্কোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচ।
 
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে শুরুর একাদশে রাখেননি পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। বিষয়টি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। কাতার ছেড়ে যাওয়ার হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু মাঠের খেলায় এর কোনো প্রভাবই দেখা গেল না। সুইসদের ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। হ্যাটট্রিক করে বিশাল এ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন রোনালদোর জায়গায় খেলতে নামা তরুণ স্ট্রাইকার গঞ্জালো রামোস। জাতীয় দলে এমন স্বপ্নের মতো অভিষেক! ২১ বছরের তরুণ যেন রোনালদো যোগ্য উত্তরসূরি। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের জোয়াও ফেলিক্স এবং এসি মিলানের উইঙ্গার রাফায়েল লিও রয়েছেন। পর্তুগালের মূল শক্তি অবশ্য দুই মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও বার্নার্দো সিলভা। এ দু'জন ছন্দে থাকলে পর্তুগিজদের আটকানো সম্ভব হবে না। তবে স্ট্রাইকার রামোসের ওপরই নজর থাকবে সবার। গত মৌসুমে বেনফিকাতে ডারউই নুনেজকে সহায়তা করাই ছিল তাঁর কাজ। চলতি মৌসুমের শুরুতে নুনেজ লিভারপুলে চলে এলে বেনফিকার মূল স্ট্রাইকারের দায়িত্ব পান ২১ বছরের রামোস। এর পর থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন তিনি।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK