সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:৫৭
ব্রেকিং নিউজ

সত্যিই কি দলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আছে কী বললেন রোনালদো..

সত্যিই কি দলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আছে  কী বললেন রোনালদো..

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছেছে ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল পর্তুগাল। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অশান্তির আঁচ মিলছিল পর্তুগাল শিবিরে। এর পেছনে ছিল পর্তুগালের একটি সংবাদমাধ্যম। তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিল, সুইজারল্যান্ডে ম্যাচের পর কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে বাদানুবাদের জেরে ব্যাগ গুছিয়ে দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর কিছুক্ষণ পরেই এই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থা।

এ বিষয়ে দলের প্রধান তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও মুখ খুললেন। সাফ জানালেন, তাদের দলকে ভাঙার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।
বৃহস্পতিবার বিকালে এই সংবাদের বিরোধিতা করে রোনালদো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, “বাইরের কিছু কিছু শক্তি একটা ঐক্যবদ্ধ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই দলটা বাইরের কোনও শক্তিকে ভয় পায় না। স্বপ্ন পূরণ করার জন্য শেষ পর্যন্ত এই দলটা চেষ্টা করে যাবে! আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন!”

পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আমরা জানাতে চাই, রোনালদো কখনওই এমন কথা বলেননি বা এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। জাতীয় দল এবং দেশের সেবা করতে প্রতিদিনই রোনালদো কোনও না কোনও নতুন কীর্তি স্থাপন করছেন। সেটা সমীহ করা উচিত এবং জাতীয় দলের প্রতি তার দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ঘটনাচক্রে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের দায়বদ্ধতা আরও এক বার বোঝা গেছে। এই বিশ্বকাপ যাতে পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ হয়, সেজন্য সমস্ত ফুটবলার, কোচ প্রথম দিন থেকে দায়বদ্ধ।”

পর্তুগালের সেই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না বুঝতে পেরেই রেগে গিয়েছিলেন রোনালদো। ম্যাচের মধ্যে তাকে মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ৭৩ মিনিটে তাকে নামানো হয়। ম্যাচের পর সতীর্থরা যখন দর্শকাসনের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনালদো একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে যান।

ম্যাচের পর রোনালদো কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোচের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে সান্তোস এবং রোনালদোর মধ্যে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে শান্ত হন রোনালদো। তার দলে থাকা কতটা জরুরি, সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।

সতীর্থরাও রোনালদোকে বোঝাতে থাকেন। তাকে বলেন, রোনালদো এই বিশ্বকাপে সর্বক্ষণ সংবাদমাধ্যমের নজরে আছেন। তার প্রতিটি পদক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফলে এখনই তিনি যদি দেশে ফেরার মতো বিরাট কোনও পদক্ষেপ নেন, তাহলে দলের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। খেলা ছেড়ে যাবতীয় নজর রোনালদোর দিকেই ঘুরে যাবে। দলের বাকি ফুটবলাররা বিশ্বকাপ জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা রোনালদোর এই একটি কাজে মাঠে মারা যাবে।

তবে পর্তুগিজ ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন পুরোই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রোনালদো ও পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থা।

উত্তরণবার্তা/দীন

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK