বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২২:১২

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে । তিনি আজ রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং অষ্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু সংকট এবং নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা’ শীর্ষক দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ফটোগ্রাফার নাইমুজ্জামান প্রিন্সের ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
 
ডা. এনামুর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।  সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদিপশুসহ এ সকল আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।  তিনি বলেন, ভৌগলিক কারণে দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে আমাদেরকে প্রতি বছর কোন না কোনো দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপকতা প্রমাণ করে দুর্যোগের পূর্বসতর্কীকরণ ও ঝুঁকিহ্রাসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত। 
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগপূর্ব পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।  স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।  তিনি বলেন, বর্তমানে উপকূলে দেশের ৭৬,১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে । 
 
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। 
 
তিনি আরো বলেন, তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮ টি উপজেলায় ৫৫০ টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে, তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপি (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল)'র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবি উপস্থিত ছিলেন ।
উত্তরণবার্তা/এসএ

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK