শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৯:৩৫
ব্রেকিং নিউজ

আইফোন ও বিটকয়েনের বিনিময়ে তথ্য পাচার করেন স্ট্রিক

আইফোন ও বিটকয়েনের বিনিময়ে তথ্য পাচার করেন স্ট্রিক

উত্তরণবার্তা ক্রীড়া ডেস্ক:  দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্ট্রিককে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। কীভাবে ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তারই বিস্তারিত প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।আগারওয়ালের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের কোচ থাকাকালে স্ট্রিকের পরিচয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দলের ভেতরের তথ্য ফাঁস করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএল, বিপিএল ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে নানা ভূমিকায় দায়িত্ব পালনের সময় এসব বিধি ভঙ্গ করেন তিনি। এই সময়ে জুয়াড়ির সঙ্গে চার খেলোয়াড়কে পরিচয় করান ৩৫ হাজার ডলারের দুটি বিট কয়েন ও স্ত্রীর জন্য আইফোনসহ নানা দামী উপহার নিয়ে।
 
আলাপ শুরু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করে উপার্জনের বড় ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে চান, এমন লোভ দেখিয়ে দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিককে ফাঁদে ফেলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী দীপক আগারওয়াল। অবশ্য তিনি যে জুয়াড়ি সেই পরিচয় লুকাননি। জিম্বাবুয়ের বাইরে কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্ট্রিকের আছে কি না তাও জেনে নেন। ১৫ মাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপ আর ই-মেইলে অ্যাকাউন্টে চলে তাদের কথাবার্তা, দলের ভেতরের তথ্য ফাঁস এবং ম্যাচ পাতাতে প্রস্তাব প্রক্রিয়া সহজতর করার মতো অনৈতিক কাজ শুরু করেন স্ট্রিক। দামী দামী উপহারের বিনিময়ে এসব করে গেছেন সাবেক জিম্বাবুয়ান পেসার।
 
এসব অনৈতিক কাজ বেশিরভাগই হয়েছে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে। স্ট্রিক ও আগারওয়ালের সম্পর্ক ছিল ১৫ মাস, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এই জিম্বাবুয়ান বাংলাদেশের বোলিং কোচ থাকায় ২০১৭ সালের বিপিএলেও নিজের প্রভাব বিস্তার করেন আগারওয়াল। স্ট্রিককে দিয়ে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইসিসি বলেছেন, ‘২০১৭ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আসে মিস্টার এক্স (পরে তিনি আগারওয়াল নিশ্চিত হওয়া গেছে) স্ট্রিককে যোগাযোগের পথ তৈরি করে দিতে বলেন, দলের অধিনায়ক বা মালিক কিংবা খেলোয়াড়দের ফোন নাম্বার চেয়েছিলেন। এছাড়া দলের ভেতরের তথ্যও বের করতে বলেছিলেন স্ট্রিককে, যেমন কে জিতবে ম্যাচ এমন কিছু। যা ম্যাচ পাতানোর প্রক্রিয়া সহজ করে দেবে।’
 
শেষ পর্যন্ত স্ট্রিকের সহায়তায় সাকিব ধরা পড়েন আগারওয়ালের ফাঁদে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ওই বছরের আইপিএলে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও গোপন করেন, যার কারণে এক বছরের স্থগিতাদেশসহ দুই বছর নিষিদ্ধ হন বাঁহাতি অলরাউন্ডাার। তবে তামিম ছিলেন সতর্ক, তিনি আগারওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি জানান দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK