সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০২:৩১
ব্রেকিং নিউজ

বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে ফেসবুক

বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে ফেসবুক

উত্তরণ বার্তা তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ১৯৯৮ সালের বন্যার পরে বিশেষজ্ঞরা এ বছরের বন্যাকে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হিসেবে বিবেচনা করছেন, যা ৩৩টি জেলা এবং ৫৫ লাখ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর এ বছরের বন্যার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রকোপ মানুষের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ এখন দারিদ্রতার শিকার।

দুর্যোগে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, ত্রাণদাতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ব্র্যাক এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)-কে ডিজিটাল সহায়তা দেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় টুলস ও প্রোডাক্টগুলো নিয়ে একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া বিডিআরসিএস এবং ব্র্যাক দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে তা প্রচার করতেও সহায়তা করছে ফেসবুক।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: মহসিন বলেছেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফেসবুকের মতো একটি বিশ্বমানের সংস্থা যখন বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসে তখন বেশিসংখ্যক মানুষকে নিযুক্ত করা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় ফেসবুক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ব্র্যাক-এর এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

ব্র্যাক হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজেদুল হাসান ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য ফেসবুককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী কার্যক্রম যেমন- কাজের অভাব, বিশুদ্ধ পানির অভাব, মহামারীর প্রকোপ ইত্যাদি বন্যা চলাকালীন কার্যক্রমের মতোই চ্যালেঞ্জিং। দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে আমাদের সহায়তা করার জন্য ফেসবুককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (ডিআরএম)-এর পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করতে পেরেছি। এ বছরের বন্যাতে আমাদের কার্যক্রমের একটি রেকর্ড রাখার পাশাপাশি পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে উপযুক্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যাতে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি সেই প্রত্যাশাই করছি।’

ফেসবুকের ক্রাইসিস রেসপন্স টুলটি দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষকে পুনর্বাসন, খাদ্য, পানি, পরিবহন ও স্বেচ্ছাসেবীমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত সহযোগিতা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে সুরক্ষিত এবং সতর্ক রাখতে কোভিড-১৯ ইনফরমেশন সেন্টার এর মতো বিভিন্ন প্রোডাক্ট, টুলস ও ফিচার এনেছে।

ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর অশ্বানী রানা বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও পরিবারগুলোর প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। দুর্যোগের সময় মানুষ তাদের প্রিয়জনদের খোঁজ নিতে ফেসবুক ব্যবহার করেন। অনেকেই দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষদের সাহায্য করতেও ফেসবুক ব্যবহার করেন। বাংলাদেশের বন্যা কবলিত পরিবারদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের চাহিদাগুলো আরও ভালোভাবে পূরণ করতে ব্র্যাক এবং বিডিআরসিএস-এর মতো সংস্থাগুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বাংলাদেশকে আমাদের সমর্থন জোরদার করতে স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’

উত্তরণ বার্তা/এআর


 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ