বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৯:৪৪
ব্রেকিং নিউজ

১৯৭১ সালে ইসলামাবাদ গণহত্যা চালিয়েছিল: পাকিস্তানি কূটনীতিকের স্বীকারোক্তি

১৯৭১ সালে ইসলামাবাদ গণহত্যা চালিয়েছিল: পাকিস্তানি কূটনীতিকের স্বীকারোক্তি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক কূটনীতিক বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ইতিহাসের নিকৃষ্টতম গণহত্যা চালিয়েছিল বাংলাদেশে। এখন পাকিস্তানের একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকও স্বীকার করলেন ওই গণহত্যার কথা। যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি বলেছেন, পাকিস্তান সরকার গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনও ইঙ্গিত নেই। কিন্তু পাকিস্তানের জনগণের উচিত তাদের সরকারকে আহ্বান করা, যাতে তারা বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চায়।

সোমবার ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে হাক্কানি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, রাষ্ট্রদূত মাহাবুব হাসান সালেহসহ অন্যরা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাক্কানি ওয়েবিনারে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির মধ্যেই সবচেয়ে বিখ্যাত নেতা নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়া তথা ইতিহাসের অন্যতম নেতা, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব।

মহাত্মা গান্ধি ও নেলসন ম্যান্ডেলা যে ধরনের নেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধুও একই ধরনের নেতা ছিলেন বলে মন্তব্য করেন বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী হাডসন ইনস্টিটিউটে কর্মরত হাক্কানি। হাক্কানি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ছিল ওই সময়ে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। কারণ, বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো এই পূর্বাঞ্চল থেকে। পাকিস্তানের সামন্ত শাসকরা কখনোই বাঙালিদের সমমর্যাদা দেয়নি। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেও তারা প্রস্তুত ছিল না।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমান দেশের একটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশ। এই বাংলাদেশের পেছনে অবদান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে সামরিক বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে এটি সবাই আশা করেছিল। যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণহত্যার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। রাষ্ট্রদূত সালেহ বলেন, রাষ্ট্রদূত হাক্কানির মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে বুঝতে আরও বেশি সাহায্য করবে।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ