বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৫:১০
ব্রেকিং নিউজ

বর্ষায় অপরূপ রূপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিল

বর্ষায় অপরূপ রূপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিল

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বর্ষায় নতুন রূপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐতিহাসিক আশুড়ার বিল ও অপরূপ মুগ্ধকর শালবনকে একই সুতোয় গেঁথেছে আঁকাবাঁকা দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু। কাঠের সেতুতে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের পর থেকে ভিড় জমিয়েছে দর্শনার্থীরা। এখন দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়।

আশুড়ার বিলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বিলের দু’ধারে প্রাকৃতিক শালবনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। কাঠের সেতুতে দাঁড়িয়ে বিল আর দু’পাশের বনের দৃশ্য দেখতে কাছে টানে ভ্রমণপিপাসুদের। এই দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে তারা। তবে আশুড়ার বিল সারা বছরই দর্শনার্থীদের প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিশাল আয়তনের বিলটির সৌন্দর্য রক্ষার্থে এবং সারাবছর পানি ধারণের জন্য ক্রস ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। দুই শালবনের মাঝ দিয়ে আশুড়ার বিল। আর দুই বনকে সংযুক্ত করতে বিলের মুনির থান ঘাট থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে শালকাঠ দিয়ে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ ৯০০ মিটার জেড আকৃতির দৃষ্টিনন্দন আঁকাবাঁকা কাঠের সেতু নির্মাণ এবং নামকরণ করা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কাঠের সেতু।

বিলের পানি, মুক্ত বাতাস, চারপাশে সবুজ ঘন অরণ্য, পাখিদের কিচিরমিচির ডাকাডাকি এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য
প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্তরে অন্যরকম শিহরণ জাগিয়ে তোলে। রাতে আশুড়ার বিলের উপর দৃষ্টিনন্দন শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের সেতুতে আলোক বাতি ছাড়াও বনের পাশে পাশে ল্যাট্রিন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থী সানাউল্লাহ, মতিউর রহমান, ইয়ামেন সরকারসহ কয়েকজন জানান, দুই শালবনের মাঝে এই দৃষ্টিনন্দন সেতু সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে অন্যরকম মনে হয়। সন্ধ্যার পর আলোকবাতি বাড়তি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নৌকায় ভ্রমণের দুইপাশের দৃশ্যকে মুগ্ধ করে। তবে বিলটিতে পানি ধরে রাখতে এবং আরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে উত্তর পশ্চিমে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে জাতীয় উদ্যানের শালবন ঘেঁষে এ বিলের অবস্থান। আশুড়ার বিলের নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরের এলাকা নিয়ে আয়তন ৩১৯ হেক্টর। এর মধ্যে নবাবগঞ্জে ২৫১ হেক্টর অবস্থিত। এই বনে শাল ছাড়াও সেগুন, গামার, কড়াই, বেত, বাঁশ, জামসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির গাছ-গাছড়া রয়েছে। এখনো বিলটিতে অনেক হারিয়ে যাওয়া প্রজাতির মাছ জেলেদের হাতে ধরা পড়ে। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ বিলটি লম্বায় ৫ কিলোমিটার।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ