উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঈদযাত্রায় ফিরতি ট্রেন-লঞ্চ ও বাসে যাত্রীর চাপ খুব বেশি নেই। এ জন্য অনেকটা স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ।পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। ট্রেন-লঞ্চ ও বাসে যাত্রীচাপ না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ।
ফিরতি যাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।আজ শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ স্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, কেউ একাকী আবার কেউবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। এদিন যাত্রীচাপ কিছুটা কম হলেও শনিবারে থেকে যাত্রীচাপ বাড়তে পারে বলে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিরাজগঞ্জ আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মনোয়ার মুন্না বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হওয়ায় চলে এসেছি। যাত্রীচাপ কম হওয়ায় ভোগান্তিও হয়নি।
পাবনা থেকে আসা সায়ান বলেন, এবার ঢাকায় আসতে তেমন একটা ভোগান্তি হয়নি। টিকিট নিয়েও বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি। আর ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটেনি। সব মিলিয়ে ঈদযাত্রা ভালোই হয়েছে।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটেও একই অবস্থা দেখা গেছে। স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন ঈদে গ্রামে যাওয়া মানুষ। যাত্রীর তেমন চাপ নেই।
যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে মানুষ ঢাকায় ফিরছে। তবে খুব বেশি ভিড় নেই। তবে এসব স্টেশনে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের উপস্থিতিও দেখা গেছে।
গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, অল্প যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার বাস গাবতলীতে ঢুকছে। যানবাহনের চাপ কম থাকায় আমিনবাজার ব্রিজ (পর্বতা) থেকে মাজার রোড পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় ফাঁকা ছিল।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। দোকানপাট, শপিংমলগুলোও রোববার থেকে জমে উঠবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরণবার্তা/এআর