মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০২:২৮

উৎসবের আমেজে বৈশাখের ছোঁয়া

উৎসবের আমেজে বৈশাখের ছোঁয়া

উত্তরণবার্তা ডেস্ক :  বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার ক্ষেত্রে বাঙালির রয়েছে আলাদা আবেগ। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়াও বাঙালির কাছে বিশেষ অর্থ বহন করে। এই দিনটিতে সবাই পরিপাটি সাজতে চায়। তবে বৈশাখেও তো আলাদা সাজপোশাক থাকা চাই। ঈদের সঙ্গে অনেকে বৈশাখের সাজও ঠিক রেখেছেন। এবার চলুন জেনে নেই কেমন হবে সাজপোশাক।

বৈশাখের পোশাক

বৈশাখের উৎসবের পোশাকের রঙ সাদা-লাল তো থাকবেই। তবে বিভিন্ন মোটিফের পোশাকে এখন যুক্ত হয়েছে কমলা, মেরুন বা গাঢ় কোনো রং। অনেককে ওয়েস্টার্ন বা সেমি ওয়েস্টার্নসহ অন্যান্য পোশাকও পরতে দেখা যায়। এসব পোশাকের সঙ্গে রাখা যায় ছোট একটি লাল টিপ কিংবা লাল লিপস্টিক। এতেও প্রকাশ পাবে বৈশাখের আমেজ।

বৈশাখের মেকওভার

গরমের কথা মাথায় রেখে হালকা বেইজ মেকআপ করা যায়। কারণ হালকা বেইজ অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে। চোখের সাজে রাখুন ব্রাউন শেড ও আইলাইনার। শাড়ি পরলে গাঢ় টানা কাজল ও আইলাইনারেও সাজানো যায় নিজেকে।

রিটাচ করে নিতে ফেস পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডার রাখতে পারেন সঙ্গে। তবে সাজসজ্জায় কোথাও লালের আধিক্য যাতে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।  রঙের একটা ব্যালেন্স থাকলে সবচেয়ে ভালো। গাঢ় পোশাকের সঙ্গে ন্যুড লিপস্টিক সুন্দর ও মানানসই। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন পিংক, মভ, মাঝারি শেডের কোনো পিংক বা পিচ শেড।

ছেলেদের সাজ

বৈশাখে ছেলেদের সাজের পুরোটা মূলত পোশাকেই হয়ে যায়। সুতি বা সিল্কের একটি সুন্দর রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার সঙ্গে পায়জামা, ধুতি বা জিন্স পরতে পারেন। তবে সারাদিন রোদে থাকতে হবে বলে ত্বকের যত্নে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। ত্বক যেন রোদে পুড়ে না যায় সেজন্য ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন।

মেয়েদের খোপা ও চুল

শাড়ির সঙ্গে খোলা চুলে ফুলের সাজের কোনো তুলনাই হয় না। কিন্তু অস্বস্তিকর গরমে চুল বেঁধে রাখা ছাড়াও যেন উপায় নেই। খোঁপায় গুঁজে নিতে পারেন রঙিন কোনো ফুল। নাহলে অন্তত হাতে জড়ানো থাকতে পারে ফুলের মালা। এতে অনেক বেশি সতেজ ও স্নিগ্ধ লাগে। সাদা রঙের ফুল যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই। লাল টিপের সঙ্গে লাল রঙ্গন, গোলাপ, জবা, গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা পরলেও ভালো লাগবে। সেই সঙ্গে চুলে করে নিতে পারেন খোপা, পনিটেইল, ফ্রেঞ্চরোল কিংবা ডোনাট বান।

জুতা

সারাদিন গরম থাকতে পারে, তাই পা যেন ঘেমে না যায় বাছাই করতে হবে তেমন জুতা। ছেলেরা এ সময় স্লিপার পরতে পারেন। তাহলে পা ঘেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এই দিনে বেশি হাঁটাহাঁটি হয় তাই মজবুত অল্প হিলের জুতা বা স্লিপার পরতে পারেন নারীরা।

গয়না

এদিন শাড়ির সঙ্গে মাটির গয়না বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা। এছাড়াও কাঠ, রুপা, মুক্তা বা তামার মালাও পরতে পারেন। ভারী গয়না পরতে না চাইলে ফুলের মালা বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া মাদুলি ও হাঁসুলি বা অ্যান্টিকের গলার মালাও পরেন নারীরা। কাঁচের চুড়ির মতো অনেকে প্রাধান্য দেন অ্যান্টিকের চুড়িকেও। আর নানা রকম টপসের সঙ্গে তরুণীরা বেছে নেন কাঠ, বাঁশ, বেত ও নানা রকম বিডসের গয়না।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK