শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:১২
ব্রেকিং নিউজ

২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে : প্রধানমন্ত্রী

২৫ মার্চ  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে  :  প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে? কে বিজয় এনে দিল?’

বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা বলছেন, পালিয়ে গেল- তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।’

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ তো এক কদম এগোতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগোতে দেয়া হয়নি ‘, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেল সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল- মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়।’

জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলাসহ সবই তিনি করেছেন। স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরে তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।’

আলোচনায় আরও অংশ নেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।

সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK