শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:০৯

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ কি মানবতার জন্য হুমকি?

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ কি মানবতার জন্য হুমকি?

উত্তরণর্তা ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’। বিভিন্ন দেশ এআই নিয়ে তৈরি করছে নীতিমালাও। কিছু দিন আগেই কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এআই মানবতার জন্য হুমকি। যদিও বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্য ও শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মেটা বিজ্ঞানী ইয়ান লেকান। তিনি এটিকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন।

বিশ্ব দখল করে ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হানা দেবে চাকরির বাজার, কেড়ে নেবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এটা মানতে নারাজ এআইর তিন গডফাদারের একজন। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে এখনো অনেক বছর বাকি। আর আপনার কাছে অনিরাপদ মনে হলে এটা তৈরি না করলেই পারেন।’ ২০১৮ সালে এআই খাতে অবদান রাখায় জেফ্রি হিনটন ও ইয়োশুয়া বেনজিওর সঙ্গে যৌথভাবে ‘টিউরিং অ্যাওয়ার্ড’ জেতেন লেকান। এরপর থেকেই তারা সবাই ‘এআই গডফাদার’ হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক কোম্পানি মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করছেন অধ্যাপক লেকান। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, বাকি দুই এআই গডফাদারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন তিনি। তিনি বলেন, এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে, ওই পর্যায়ে পৌঁছানোর পর্যাপ্ত ধারণা এখনো গবেষকদের কাছে আসেনি। এটা আসতে দশক না হলেও অন্তত কয়েক বছর তো লাগবেই।

এআই বেশ কিছু চাকরির জায়গা নিতে পারে এ শঙ্কার বিপক্ষে তিনি বলেন, ‘এটা বেশির ভাগ লোকজনের চাকরি চিরতরে কেড়ে নেবে না।’ কাজের ধরন বদলাবে, কারণ এখন থেকে ২০ বছর পর সবচেয়ে চমকপ্রদ চাকরি কোনটা হবে, তা কেউই বলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিমান কম্পিউটার ‘মানবতার জন্য নতুন এক রেনেসাঁ’ তৈরি করবে। ঠিক যেমন ইন্টারনেট বা ছাপাখানার বেলায় ঘটেছিল।
উত্তরণর্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK