বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৭:২৪
ব্রেকিং নিউজ

নাসার অনুদান পেলেন আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী

নাসার অনুদান পেলেন আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : মহাকাশে ব্যবহার উপযোগী নতুন প্রজন্মের ব্যাটারি প্রযুক্তি গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) সাড়ে সাত লাখ ডলারের অনুদান পেয়েছেন আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী মো. ওয়াহিদুল হাসান ও তার দল। সম্প্রতি নাসার এস্টাবলিশড প্রোগ্রাম টু স্টিমুলেট কম্পিটিটিভ রিসার্চ (ইপিএসসিওআর) কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা মাইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটিকে এ অনুদান দেয়া হয়।

আইইউবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া ওয়াহিদুল ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা মাইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন সলিড স্টেট লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি এবং ইলেকট্রোকেমিক্যাল এনার্জি স্টোরেজ বিষয়ে পিএইচডি করতে। পিএইচডি গবেষণার পাশাপাশি সেখানে তিনি গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০২১ সালে গবাদিপশুর মূত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্পের জন্য এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশনের ‘কেমিস্ট্রি ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সাউথ ডাকোটা স্কুল অব মাইনস অ্যান্ড টেকনোলজি একটি নতুন লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি প্রযুক্তি তৈরি করবে, যা বিদ্যমান লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে উচ্চতর। ব্যাটারির শক্তি ক্ষমতা এবং জীবনযাত্রার উন্নতি নাসা পাওয়ার রকেট, মহাকাশযান এবং চাঁদে বাসস্থান এবং অবশেষে মঙ্গল গ্রহে সাহায্য করতে পারে।

ওয়াহিদুল বলেন, ‘লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের ব্যাটারি যা এখনও বিকাশ এবং পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে তবে এটি ইতিমধ্যেই একটি পরবর্তী প্রজন্মের শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি হিসেবে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে৷ সালফার প্রকৃতিতে প্রচুর এবং আমরা ভুট্টার ডালপালা থেকে কার্বন পেয়েছি, এটিকে একটি বায়োপ্রোডাক্ট বানানো, যার মানে এটি একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অতএব, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, এই ব্যাটারিটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস।

এই গবেষক আরো বলেন, ‘সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছি, সেটি একদমই নতুন। এখনো প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। তবে সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত সাফল্য যদি অর্জন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ে, বিশেষ করে পরিবহন খাতে এই প্রযুক্তি ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।’

লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি–প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ব্যাটারির বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণক্ষমতা বাড়ানোর ওপর উন্নততর গবেষণার ইচ্ছা আছে ওয়াহিদুলের। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশে একটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করতে চান, যেখানে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তরুণ প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীরা।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ