শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১০:৩৬
ব্রেকিং নিউজ

তারেকের অতিলোভে টাটার ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ: জয়

তারেকের অতিলোভে টাটার ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ: জয়

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অতিলোভের কারণে ২০০৫ সালে টাটার তিন বিলিয়ন ডলারের মেগাবিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জয় তাঁর নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসংক্রান্ত একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন।
 
ভিডিওবার্তায় সজীব ওয়াজেদ জয় প্রশ্ন তোলেন, কেন টাটা কোম্পানি সেই সময় বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে অতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে সরে আসে? কেন এ দেশের যুবসমাজ তাদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়? তারেক রহমান ও তার সঙ্গী গিয়াসউদ্দিন মামুনের অনিয়ন্ত্রিত লোভের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়েছিল উল্লেখ করে জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তাদের কুকীর্তির কারণে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় টাটাসহ অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
 
ভিডিওবার্তায় তিনি আরো বলেন, ২০০৫ সালের ৮ মে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান ঘোষণা করেন টাটা বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত, যা অতীতের সব বিদেশি বিনিয়োগকে ছাড়িয়ে যেত।পরিকল্পনা মোতাবেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিনিময়ে এ দেশের রাসায়নিক সার ও ইস্পাতশিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। শুধু তাই নয়, এই বিনিয়োগ চুক্তি সফল হলে বাংলাদেশ টাটার কাছ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ারেরও অংশীদার হতো।
 
তিনি বলেন, সে সময় টাটার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক এবং তার ‘ডানহাত’খ্যাত গিয়াসউদ্দিন মামুন ও সিলভার সেলিম রতন টাটার সঙ্গে আলাদাভাবে একান্ত বৈঠক দাবি করেন। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তখন বাকি পরিচালকরা উঠে যান। পরে রতন টাটার সামনে ঝেড়ে কাশেন গিয়াসউদ্দিন মামুন। এ সময় তিনি রতন টাটাকে ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাব শোনা মাত্র টাটার মালিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু দাবিতে অনড় থাকেন তারেক। একপর্যায়ে রতন টাটা গিয়াসউদ্দিনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেনের হদিস পান।
 
জয় তার ফেসবুক পোস্টে জানান, একান্ত বৈঠকে গিয়াসউদ্দিন প্রথম দফায় ২০০ কোটি ও পরে জাতীয় নির্বাচন বাবদ আরো ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন। বৈঠকের পর রতন টাটা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে তারেক ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের এই ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ফাঁস করে দেন। উল্লেখ্য, টাটার কাছে তারেক-মামুনের ঘুষ দাবি করার ওই ঘটনা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দরবার পর্যন্ত গড়ায়। পরে টাটা গ্রুপ নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট বাতিল করে। 
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ