শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১২:১০

কুমিল্লা নগরী জুড়ে বই বাঁধাই উৎসব চলছে

কুমিল্লা নগরী জুড়ে বই বাঁধাই উৎসব চলছে

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : নতুন বছরের শুরুতে নতুন বই পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা। নিজের প্রিয় বইগুলো অনেক দিন যত্নে রাখা, যেন ছিঁড়ে না যায় সেজন্য বই বাধাঁর দোকানে দোকানে ভিড় করছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। আর এ ফাঁকে বাঁধাই কারিগরদের সুযোগ হয় বাড়তি আয়ের। কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বই বাঁধাইয়ের কাজ করেন কারিগররা। কুমিল্লা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় এ কাজের জন্য প্রসিদ্ধ। নিউ মার্কেটের পিছনের সিড়ির গোড়ায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সারা বছর বাঁধাই কাজ করে থাকি। তবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল শিক্ষার্থীদের বই বাঁধাই কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। কাজ বেশী তাই একটুও দম ফেলার ফুরসত থাকে না এ দুই মাসে। নগরীর নিউ মার্কেট পূর্ব গেইটে তিন দশকেরও বেশী সময় বই বাঁধাই করেন সাজেদা বেগম। তার দাবি তিনি প্রথম কুমিল্লায় বাণ্যিজিক ভাবে বই বাঁধাইয়ের কাজ শুরু করেন। সাজেদা জানিয়েছেন জানুয়ারি মাসে খুব ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হয়। যথা সময়ে কাজ ডেলিবারি দিয়ে গ্রাহকের মন রক্ষা করা কঠিন। তাই এ কাজে যুক্ত করেছেন মেয়ে ও পুত্রবধূকে। তার ইচ্ছা দুই মাসে লক্ষ টাকা আয় করা।

নিউ মার্কেটের মাহবুব বুক বাইন্ডার্সের মালিক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন বছর এলে লাভজনক কাজটি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারি। অল্প সময়ে বেশী আয় করা যায় তাই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস বই বাঁধাই করি। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি বই ২০ টাকা। নবম শ্রেণীর বই ২০-২৫ টাকায় বাঁধাই করি। আমরা সারাবছরে এখানে বসে কাজ করি। রেজিস্টার খাতা, বাঁধাই খাতা, ব্যবহারিক খাতা, অফিস ফাইল, বই, প্যাকেট, কিতাব বাঁধাই করে থাকি। ফৌজদারি মোড়ে এথনিকা স্কুলের সামনে বই বাঁধাই করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আমি পেশায় ইলিকট্রিশিয়ান। প্রতি বছর জানুয়ারিতে বই বাঁধাইয়ের কাজ করি। ঘরে থেকে আমার স্ত্রী এ কাজে সহযোগিতা করে। দিনে ৭০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। রাজগঞ্জ সড়কের পাশে বই বাঁধাই করেন হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, বছরের শুরুতে নতুন বই দেয়ার পর বই বাঁধাইয়ের খুব চাপ থাকে। সবাই এসে দ্রুত ডেলিভারী নিতে চায়, ফলে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়। তিনি জানান, বছরের প্রথম দুই মাস কাজের খুব চাপ থাকে। এরপর ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। গত বছর তিনি প্রায় ২৫ হাজার বই বাঁধাইয়ের কাজ করেছেন বলে জানান।
উত্তরণবার্তা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK