শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:০৩
ব্রেকিং নিউজ

মিরপুর চিড়িয়াখানার হরিণের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে

মিরপুর চিড়িয়াখানার হরিণের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক :  করোনা মহামারি সারাবিশ্বকে কাঁপিয়ে দিলেও মিরপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীদের কাছে তা ছিলো আশীর্বাদ। মহামারীর অবসরে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জন্ম নিয়েছে কয়েকশ প্রাণী। সম্প্রতি তাদের মধ্য থেকে ১৯৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করে চিড়িয়াখানা আয় করেছে এক কোটিরও বেশি টাকা। চিড়িয়াখানার পরিচালক জানান, অনুকূল পরিবেশ, যত্ন আর ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে বেড়েছে হরিণসহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা।
 
করোনার প্রকোপে অন্য সবকিছুর মতই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা। সেসময় দর্শনার্থীদের ভিড়ভাট্টা না থাকায় চিড়িয়াখানার পরিবেশেও এসেছিলো পরিবর্তন। অনুকূল পরিবেশে প্রজননও বেড়েছিলো প্রাণীদের। চিড়িয়াখানায় তিনটি শেডে ১৫০ হরিণের জায়গা থাকলেও বর্তমানে সেখানে হরিণের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। একই চিত্র ময়ূরের ক্ষেত্রেও। এমন বাস্তবতায় গত মার্চে হরিণ এবং ময়ূর বিক্রির ঘোষণা দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। প্রথমে প্রতি হরিণ ৭০ হাজার টাকা দাম ঠিক করলেও পরে তা কমিয়ে ৫০ হাজার করা হয়। আর এই দামে এখন পর্য্ন্ত ১৯৮টি চিত্রা হরিণ বিক্রি করে চিড়িয়াখানা আয় করেছে কোটি টাকারও বেশি।
 
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধিমালা মেনে অনেকেই এখন পুষছেন চিত্রা হরিণ। তাই এর বিক্রিও বেশি। তবে হরিণ কেনার আগে অনুমতি নিতে হবে বন বিভাগের। আর একজন ক্রেতাকে অবশ্যই কিনতে হবে দুটি হরিণ। তবে হরিণ কেনার আগে অনুমতি নিতে হবে বন বিভাগের। আর একজন ক্রেতাকে অবশ্যই কিনতে হবে দুটি হরিণ। শুধু হরিণ আর ময়ূরই নয়, ইমু, উটপাখি, জলহস্তী, জেব্রা, অজগরসহ অনেক প্রাণীই চিড়িয়াখানার ধারণক্ষমতার চেয়ে এখন বেশি। কিন্তু এসব প্রাণি বিক্রির অনুমোদন না থাকায়, দেশের ভেতর বা বাইরে অন্যকোনো চিড়িয়াখানার সঙ্গে সেগুলো বিনিময়ের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তরণবার্তা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK