উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের মামলায় অনাবিল সুপার পরিবহনের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ও হেলপার চাঁন মিয়া আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার এক দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আল আমিন মীর। সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামির স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে রামপুরার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা এসব তথ্য জানিয়েছেন। ১ ডিসেম্বর এ দুই আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে, বাসচাপায় মাইনুদ্দিন নিহতের পরে বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় শহীদ বেপারী নামের এক আসামির আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। এক দিনের রিমান্ড শেষে শহীদ বেপারীকে আদালতে হাজির করে আরও সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রামপুরায় অনাবিল সুপার পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করেন। বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উত্তরণবার্তা/এআর