বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৯:২২
ব্রেকিং নিউজ

সোনার হরিণ ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট

সোনার হরিণ ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট

উত্তরণ বার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে সব দেশেরই কম-বেশি আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু তাদের নির্বাচন ব্যবস্থা অন্য দেশের মতো নয়। অন্য দেশগুলোর নির্বাচনে সাধারণত যে প্রার্থী বেশি ভোট কিংবা বেশি আসন পান, তিনিই নির্বাচিত হন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব সময় তা নাও হতে পারে। কারণ, ভোটাররা ভোট দেয়ার পরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে। এই ব্যতিক্রমী নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। গত পাঁচটি নির্বাচনের দুটিতেই এমন হয়েছে। যে কারণে এই পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিকে ব্যাপক সম্মানের চোখে দেখা হয়। কারণ, এর সঙ্গে দেশটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সংযোগ আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে প্রকৃতপক্ষে দুই ধরনের ভোটের জন্য লড়তে হয়। একটি হচ্ছে, পপুলার ভোট বা সাধারণ ভোটারদের ভোট। আরেকটি হচ্ছে, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ইলেক্টোরাল কলেজ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। প্রত্যেক চার বছর অন্তর অন্তর, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পরে ইলেক্টোরাল কলেজের নির্বাচকরা একত্রিত হন তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী এই পদ্ধতিতেই একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন যা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের আইনের জটিল এক সমন্বয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোনো রাজ্যের কতজন ইলেক্টোর বা নির্বাচক থাকবেন সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। এই রাজ্যে ইলেক্টোরের সংখ্যা ৫৫। ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যেসব ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট এবং ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ইলেক্টোরাল ভোট। কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে যাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এক ভোট বেশি পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট তাদের পক্ষেই যাবে। ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

একেক রাজ্যের হাতে একেকসংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে তারা প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। গত পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে দুটোতেই কম পপুলার ভোট পেয়েও ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ