সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:১৩
ব্রেকিং নিউজ

অক্সফোর্ডের টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি

অক্সফোর্ডের টিকা নিরাপদ ও কার্যকর  বলছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি

উত্তরণ বার্তা ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) বলেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘নিরাপদ ও কার্যকর’। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১৩টি দেশ এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ করার পর ইএমএ এ বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ১৩টি দেশ বলছে, এই টিকা প্রয়োগের পর মানুষের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার ব্যাপারে এ ঘোষণা দেয়। ইএমএ বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগের সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার উচ্চ ঝুঁকির কোনো সম্পর্ক নেই।

ইএমএ-এর নির্বাহী পরিচালক এমার কুক এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা।’ তিনি জানান, এই টিকা রক্ত জমাট বাঁধার মতো বিষয়ে ঝুঁকি বৃদ্ধির মতো ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এদিকে এমন ঘোষণা আসার পর ইতালি সরকারিভাবে জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার প্রয়োগ আবার সেখানে শুরু করা হবে। তবে এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করা অন্য দেশগুলো এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি। নিয়মানুযায়ী, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার প্রয়োগ ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত প্রতিটি দেশের নিজস্ব বিষয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা কার্যকর ও নিরাপদ। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে তাদের তৈরি করোনার টিকা গ্রহণ করেছে। আর রক্ত জমাট বাঁধার যেসব ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, সেটি সংখ্যায় শতাধিকের কম। এটি মোট জনসংখ্যার তুলনায় স্বাভাবিক। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, দ্য নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, স্পেন ও সুইডেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করে। এ ছাড়া আইসল্যান্ড ও নরওয়েও এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ