মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০০:০৭

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : আগামী ২৬ মার্চ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাভরে পালন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আর বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এবছর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানাবেন পাঁচ দেশের রাষ্ট্র প্রধান। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে প্রস্তুত রেখেছে গণপূর্ত বিভাগ। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে সাভার গণপূর্ত বিভাগের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
 
সাভার গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ১৭ মার্চ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ওই দিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। সবশেষ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশবাসী ছাড়াও জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
 
স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ১ মাস ধরে ধুয়েমুছে ও বাহারি ফুলের সমারোহে প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে সৌধ প্রাঙ্গণ। লাল-ইটে সাদা রঙের ছোঁয়ায় শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টকটকে ফুলের টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। আগেভাগেই গাছ ছেঁটে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। লেকের পানিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে লাল শাপলা। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকার সড়কগুলোতে বাহারি রং এর বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করার জন্য চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
 
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকেই স্মৃতিসৌধে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন। এ উপলক্ষে আগেভাগেই স্মৃতিসৌধকে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ১৫০ জন কর্মী ধোয়া-মোছা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করেছে। শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, স্মৃতিসৌধ এলাকার আশেপাশের ভাড়াটিয়াদের সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই এলাকায় কোনো অতিথি আসলে অবশ্যই আমাদেরকে জানিয়ে আসতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে অস্থায়ী পোষ্ট তৈরি করা হয়েছে।
উত্তরণবার্তা/সাব্বির

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK