উত্তরণবার্তা ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কর্মকর্তা ‘কিম কি নাম’ মারা গেছেন। ৭ মে মঙ্গলবার ৯৪ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। খবর বিবিসি। নেতাদের রাজনৈতিক বৈধতা দৃঢ় করতে তাদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর কাজ করতেন তিনি। উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্ম ধরে শাসনক্ষমতায় থাকা নেতাদের সবার সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কিম জং উন মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কিম কি নামের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতি অপরিসীম আনুগত্য দেখানো এ প্রবীণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত।
উত্তর কোরিয়ার হাতে গোনা যে কয়েকজন কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন, তাদেরই একজন কিম কি নাম। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের মৃত্যুর পর তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিম কি নাম। কিম দে-জুং হলেন সেই নেতা, যিনি তার ‘সানশাইন নীতি’ দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের যুগের সূচনা করেছিলেন।
উত্তর কোরিয়ায় কিম পরিবারের তিন প্রজন্মের শাসন টিকিয়ে রাখতে যেসব কর্মকর্তা অনুগত থেকে কাজ করে গেছেন, তাদেরই একজন কি নাম। তিনি উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রচার বিভাগের (প্রপাগান্ডা মেশিন) সামনের সারির নেতা হয়ে ওঠেন। উত্তর কোরিয়ার শাসকদের গুণগান গাওয়াই এ প্রচার বিভাগের কাজ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৬৬ সালে কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ার প্রপাগান্ডাবিষয়ক উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৮৫ সালে কিম ইল সাংয়ের শাসনের সময়ে তিনি প্রপাগান্ডাপ্রধান হন। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন।
উত্তরণবার্তা/এআর