রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৬:২৪
ব্রেকিং নিউজ

আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী

আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা  :  প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা। তার স্বপ্ন ছিল মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত টঙ্গী-গাজীপুর গড়ার। মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার এক   বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার (গাজীপুর-২, সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এই জননেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজীবন মানবসেবায় নিয়োজিত এই ভাওয়াল বীর তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন, তিনি আমৃত্যু তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী  শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আরো বলেন, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন ছিল মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত টঙ্গী-গাজীপুর গড়ার। কালে কালে তিনি হয়ে উঠেন জঙ্গি-সন্ত্রাসের মদদদাতা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পথের কাঁটা। হাওয়া ভবনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার নীল-নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী ২০০৪ সালের ৭ মে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে।

শহিদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যু বার্ষিকী সুষ্ঠুভাবে পালিত হোক-এটাই আমার প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী বলেন,একজন প্রিয় শিক্ষককে সন্ত্রাসীদের গুলি থেকে বাঁচাতে বুক পেতে দিয়েছিলো ছাত্র ওমর ফরুক রতন, সেও মৃত্যুবরণ করে। শুধু তাই নয়, আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হওয়ার পর শোকার্ত, বিক্ষুব্ধ, প্রতিবাদী জনতার ওপর গুলি চালিয়ে আরো দু'জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে কিন্তু জোট সরকারের পুলিশ, সন্ত্রাসীদের না ধরে উল্টো গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হাজারো নেতা-কর্মীকে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বাহিনী এই হত্যাকান্ডের প্রধান সাক্ষীকেও বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম এখনও চলছে। আশা করি, বিচারকার্য চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর হবে।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ