শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৫:২১
ব্রেকিং নিউজ

জালিয়াতি মামলায় ভিয়েতনামের শীর্ষ ব্যবসায়ীর মৃত্যুদণ্ড

জালিয়াতি মামলায় ভিয়েতনামের শীর্ষ ব্যবসায়ীর মৃত্যুদণ্ড

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : ভিয়েতনামের এক শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ীকে ১২.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক জালিয়াতির দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দেশটির ব্যবসাকেন্দ্র হো চি মিন সিটিতে বিচার শেষে আদালত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ট্রুং মাই ল্যান নামের ওই ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। তিনি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ভ্যান থিন ফ্যাট হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাকে অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ ও ব্যাংকিং নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। খবর এপি’র।

এছাড়া এই মামলায় আরও ৮৪ জন আসামিকে তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।  এদের মধ্যে ল্যানের স্বামী ও হংকংয়ের ব্যবসায়ী এরিক চু’কে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং তার ভাতিজিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল নগুয়েন ফু ট্রংয়ের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণার মধ্যেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। ল্যানের পরিবারের এক সদস্য রয়টার্সকে বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। ল্যান এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

ল্যান অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নগুয়েন হুই থিয়েপ। তিনি রয়টার্সকে বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ঘুষ ও ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘনের দুটি অভিযোগে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ল্যান এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

হো চি মিন সিটির প্রাণকেন্দ্রের বাজারে প্রসাধনী ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ শুরু করেন ল্যান। সেসময় মূলত তার মাকে সাহায্য করতেন বলে বিচারকদের জানান তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ভ্যান থিন ফ্যাট প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর তিনি এরিক চু’কে বিয়ে করেন।

তদন্তকারীদের তথ্যমতে, সাইগন জয়েন্ট স্টক কমার্শিয়াল ব্যাংক (এসসিবি) থেকে ১২.৪৬ ডলার পাচারের জন্য তার সহযোগীরা তাকে দোষারোপ করেছে। তার উদ্দেশ্য ছিল তার জন্য কাজ করা কয়েক ডজন প্রক্সির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা।

ভিয়েতনামের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকে কারো পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার থাকলে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। আইনজীবীরা জানান, অনেকগুলো শেল কোম্পানি ও তার প্রক্সিদের মাধ্যমে ট্রুং সাইগন কমার্শিয়ালের ৯০ শতাংশেরও বেশি শেয়ারের মালিক হয়েছিলেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার মনোনীত লোকদের ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর তার নিয়ন্ত্রিত শেল কোম্পানিগুলোকে শত শত ঋণ অনুমোদন করার ব্যবস্থা করতেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ