রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৪:১৮
ব্রেকিং নিউজ

ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জি পাড়ায়

ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জি পাড়ায়

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার দর্জিপাড়ার কারিগররা। রোজার শুরুতেই অর্ডার নেয়া শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন টেইলার্সগুলোর কর্ণধাররা। কুমিল্লা শহরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টি অর্ডার করা পোশাক।

দর্জি কারিগরি পলাশ, বাতেন ও কামরুল জানান, দিন যতই যাচ্ছে, ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। তবে এ বছর প্রতিটি পোশাকের তৈরি মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা। ফলে কাজের আগ্রহও বেড়ে গেছে কারিগরদের। কাজের চাপে তাদের দম ফেলানোর সময় মিলছে না। দোকানে অনেক কাপড়ের অর্ডার পেয়েছি। এগুলো সেলাই করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন, তাই নতুন করে অর্ডার নেয়া হয়তো দু-একদিনের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। কিছুদিন পর পবিত্র ঈদ উল ফিতর। এবার মানুষ অনেক কাপড় তৈরি করতে দিচ্ছে। ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেয়া হচ্ছে। তবে কারিগরদের মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে পোশাক তৈরির মজুরিও বাড়াতে হয়েছে।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তরা ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্রের পোশাকের আদল ও ডিজাইনে পোশাক বানাতে চায়। এজন্য মোবাইলে পছন্দের পোশাকের ছবি নিয়ে অনেকে ছুটে আসছেন তারা। নিজের জন্য পছন্দের ডিজাইনের পোশাকের অর্ডার দিচ্ছেন।

দেখা গেছে, শার্ট-প্যান্টের চেয়ে ছেলেদের বেশি আগ্রহ পাঞ্জাবিতে। মেয়েদের পছন্দ সালোয়ার-কামিজ আর লং ফ্রক। সঙ্গে রয়েছে নানা রঙের বোরকা। এটিও এখন তরুণীদের ফ্যাশনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দর্জিরা বলছেন, ঈদ ঘিরেই তাদের ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি থাকে। কুমিল্লা শহরের টপটেনের কাটিং মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারা আগের মতো এখন আর ক্যাটালগ চাচ্ছে না। বরং তারা নিজেরাই ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে আমাদেরকে দেখায়, ওই হিসেবে আমরা তৈরি করে দেই।

কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, পবিত্র ঈদের আগে ও পরে যাতে কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে পুলিশ সদস্যরা সজাগ রয়েছেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK