বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৪:৫৪
ব্রেকিং নিউজ

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সিরিজ খেলার রোমাঞ্চে ডুব জ্যোতির

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সিরিজ খেলার রোমাঞ্চে ডুব জ্যোতির

উত্তরণবার্তা ডেস্ক : ২০১৫ সালে জাতীয় দলের ক্যাপ পাওয়ার পর লম্বা সময় ধরে খেলে আসছেন নিগার সুলতান জ্যোতি। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, মহাদেশীয় মহারণ, দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিদেশীয় সিরিজ মিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ৪৪ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ক্যারিয়ারের নানা পথ পেরিয়ে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের কাঁধে জাতীয় দলের নেতৃত্বও। তার নেতৃত্বেই আরেকটি ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অপেক্ষায়।
 
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় শুরু হচ্ছে দুই দলের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর দুই দল টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে। অধিনায়ক নিগার সুলতানার মতে এই সিরিজটি হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সিরিজ। সেই রোমাঞ্চে ডুবে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
 
প্রথম ওয়ানডের আগে আজ বুধবার মিরপুরে দুই দলের অধিনায়ক ট্রফি উন্মোচন করেন। চোখে সানগ্লাস এবং শরীরি ভাষায় আক্রমণাত্মক এক মনোভাব দেখা গেছে জ্যোতির। সংবাদ সম্মেলনে এসে সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন এভাবে, ‘এখন পর্যন্ত অবশ্যই (ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সিরিজ কিনা?)। তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য বলব যে অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা পুরো দলের জন্য। এবং আমরাও যেভাবে খেলে আসছি গত ৬-৭ মাস… তারা অবশ্যই সহজভাবে আমাদেরকে নেয়নি। সেটা বোঝা যায় তাদের স্কোয়াড দেখেই। বিশ্বকাপও এখানে। সবকিছু মিলিয়ে অবশ্যই যতগুলো সিরিজ খেলছি ভারত বলেন, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তারাই সবচেয়ে ভালো দল।’
 
বাংলাদেশ লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি। এর আগে দুই দল কেবল আইসিসি ইভেন্টেই মুখোমুখি হয়েছে। সেই সংখ‌্যাটাও খুব কম। ২০২২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে একবার, ২০২০ এবং ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার। দুই দলের এবারের ছয় ম‌্যাচের আন্তর্জাতিক সিরিজ তাই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
 
জ্যোতির কণ্ঠেও একই সুর, ‘প্রথমত এখন যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলব, তাই এখন এখানেই ফোকাস বেশি। আইসিসি সার্কেলের মধ্যে আমরা আছি। প্রত্যেকটা পয়েন্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই চাই যেন কোনো কোয়ালিফাই রাউন্ড যেন আমাদের খেলতে না হয়। আমার মনে হয় প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মনোযোগ এখানে সবথেকে বেশি। আমরা যতটা বেশি পয়েন্ট লুফে নিতে পারি সেটা হোমে হোক আর অ্যাওয়েতে হোক।’ 
 
অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দল বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ২০২২ সালে সপ্তমবারের মতো তারা ওয়ানডের বিশ্বচ‌্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২৩ সালে হ্যাটট্রিক টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে। এর আগেও এই শিরোপা তারা জিতেছে তিনবার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনো প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে না পারা বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনে তাদের চমকে দিতে চায়। বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পারফরম্যান্স।
 
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে ১-১ ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ২-১ ব্যবধানে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশ তাদের মাটিতে ম্যাচ জেতে। আত্মবিশ্বাসী জ্যোতি বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা। কখনই যেহেতু খেলে নাই এখানে। আর যদি আমাদের দিক থেকে চিন্তা করি অবশ্যই দেখেন আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে আসছি, আমাদের ব্যাটিংটা অনেক বেশি স্ট্রং মনে হয়েছে। আবার হোমে যখন ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছি তখন মনে হয়েছে বোলিংটা স্ট্রং। দুই দিক থেকে শক্ত থাকা ভালো। তাতে ভারসাম্য থাকে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা আগামীকাল কিভাবে শুরু করতে পারি।’
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK