শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:৫৮

মজুতদারদের ঠেকাতে ডিসিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মজুতদারদের ঠেকাতে ডিসিদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : মজুতদারদের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের হয়রানি না করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মজুতদারদের ঠেকাতে ডিসিদের আহ্বান জানান তিনি। আজ রোববার (৩ মার্চ) সকালে নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্ত্যবে তিনি ডিসিদের এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মজুতদারদের ঠেকাতে এবং খাদ্যে ভেজাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিত্যপণ্য যেন সহজে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন টেকসই হয় না তা প্রমাণিত। দেশের উন্নয়নে কাজ করি বলেই মানুষ সুফলতা পাচ্ছে। জনগণ এবার ভোট দিতে পেরেছে, যার কৃতিত্ব সব প্রশাসনের। জনগণের সেবার কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুবসমাজকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নজর দিতে হবে যেন কেউ কিশোর গ্যাংয়ের পথে না যায়।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণ নীতিমালা মেনে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। আয়কর দেয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জনগনের সেবার বিষয়টি মাথায় রেখে সব করতে হবে। সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ক্ষমতা ভোগ করার জন্য না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে যেন সঠিক মানুষরা সুফল পায়, সেটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচকরা শুধু তাৎক্ষনিক নিজেদের সুবিধা চায়। জনগনের কল্যাণের কথা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কে কি বললো তা না শুনে প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের উপকারের কথা বিবেচনা করতে হবে। প্রকল্পে জেলা প্রশাসকদের যথাযথ নজরদারি করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, নির্বাচনী ইশেতাহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। দেশের মধ্যেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই।

এবারের সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। কার্য-অধিবেশন ২৫টি (একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, একটি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় এবং একটি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা একটি। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয় একটি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। একই সঙ্গে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫৬টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে।

প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২২টি। গত বছরও একইভাবে ডিসিরা প্রায় আড়াইশ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ