শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:৫৮

চাঁদাবাজি-মজুত রোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

চাঁদাবাজি-মজুত রোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্যের অবৈধ মজুত এবং চাঁদাবাজি রোধে জনপ্রতিনিধিদেরকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। 
 
প্রতিটি জেলা থেকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বর্ধিত সভায় অংশ নেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হয়েছি বলেই বাংলাদেশের এই উন্নয়নটা হয়েছে। তাছাড়া, এত দ্রুত এত উন্নয়ন হতো না। আরো এগোতে পারতাম, কিন্তু কোভিড-১৯ আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন। আজকে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। এই যে বৃদ্ধিটা, এটার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
 
‘বিশেষ করে, পরিবহনের ক্ষেত্রে অথবা পাইকারি মার্কেটে অথবা মজুতদারি—এসব জায়গায় চাঁদাবাজি ও মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। এই মজুত কেউ অহেতুক করতে পারবে না। পণ্য আসলেই যেখানে-সেখানে পাইকারি মার্কেট, চাঁদাবাজি, চলার পথে চাঁদাবাজি এগুলো বন্ধ রাখতে হবে। আপনারা এখানে বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আছেন। আপনাদের এসব দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আবার অহেতুক চাঁদাবাজি বা মজুতদারির কারণে যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।’
 
আন্দোলন করে আওয়ামী লীগই জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, দাবি করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সরকার যে মানুষের সেবক এবং সরকারের দায়িত্ব যে মানুষের কল্যাণ করা, সেটি একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকারের এসেছে, তখনই এ দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে। কোনো দলের একটানা চারবার জনগণের ভোটের ক্ষমতায় আসা, এটা কিন্তু সহজ কাজ না। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষ কেউ যেন অবহেলিত না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করেছি। এর ফলে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
 
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো—পঁচাত্তরে জাতির পিতার হত্যাকারী এবং একাত্তরের যুদ্ধপরাধীরা কিন্তু একই সূত্রে গাঁথা। কারণ, জাতির পিতার হত্যার পর খুনিরাই কিন্তু ক্ষমতায় ছিল। আর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে তাদের বিচার করা যাবে না, সেই আইন পাস করা হয়েছিল। রাজত্ব চলছিল খুনি আর যুদ্ধপরাধীদের। কিন্তু, জনগণই ছিল আমাদের একমাত্র শক্তি। একমাত্র ভরসারস্থল আমাদের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মী। তাদের যে ত্যাগ-তিতিক্ষা, তাদের যে অবদান; তার ফলেই কিন্তু আমরা গণতন্ত্র আনতে সক্ষম হয়েছি।’
উত্তরণবার্তা/এসএ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ