মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১২:৩১

রঙ্গীন ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী

রঙ্গীন ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রঙ্গীন ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে জনৈক রঙ্গীন ফুলকপি চাষী ।  জানা গেছে, রঙ্গীন ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে জেলার গোপালপুর উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের কৃষক রিপন মিয়া (২৮)।  সরেজমিনে জানা যায়, দুই বছর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে রিপন মিয়া সাত বন্ধুকে নিয়ে সেভেন স্টার এগ্রো ফার্ম নামে চার একর জমিতে ফুলকপি, শশা, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়ার চাষ শুরু করেন। এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জামালপুর থেকে দুই হাজার রঙ্গীন ফুলকপির চারা সংগ্রহ করে, ২০ শতাংশ জমিতে সাদা ফুলকপির পাশাপাশি বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেন। এতে তার সেচ, পরিবহন ও জৈব, রাসায়নিক সারের খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রঙ্গীন ফুলকপি ব্যাপক চাহিদা থাকায় ৭০-৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে ২ কেজি। এতে ১ লাখ টাকার উপরে বিক্রি মূল্য আসবে বলে জানান রিপন।

রিপন বলেন, কৃষি প্রজেক্ট শুরুর পর রঙ্গিন ফুলকপি চাষে সবচেযে বেশি লাভবান হযয়েছ। প্রতিদিন গ্রামের ৫/৬জন নারী কাজ করছে আমার এখানে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি এটাও আমার আনন্দ। দুর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক কৃষক আগ্রহ নিয়ে নতুন এই ফুলকপি দেখতে আসছেন। অনেকেই আগামীতে এই কপি চাষের আগ্রহী দেখাচ্ছেন। ধনবাড়ী ও মধুপুরের আড়তে এগুলো বিক্রি করা হয়।

এগ্রো ফার্ম’র কর্মচারী অটোরিকশা চালক আ. লতিফ জানান, যখন এগুলো বাজারে নিয়ে যাই, সবাই তামাশা দেখতে আসে এতে অনেক আনন্দ পাই। চাষাবাদের কাজে সহায়তা করা রহিমা বেগম (৫৫) বলেন, এই কপি অনেক ভালো সেদ্ধ হয় ও স্বাদ অনেক, প্রতিদিন অনেক মানুষ এগুলো দেখতে আসছেন। বরুরিয়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন, আগামী বছর আমিও এই রঙ্গিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী। যদি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা পাই তবে আমিও রঙ্গিন ফুলকপি চাষ করবো।

গোপালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, রঙ্গীন ফুলকপির মধ্যে বিটা কেরোটিন এবং এন্টি অক্সডিন্টে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। আগামীতে এই কপির চাষাবাদ বাড়াতে কৃষককে প্রয়োজনীয় সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। এ জাতের কপি রোপণের ৮০/৮৫ দিনের মধ্যে বিক্রি করা যায় এবং সাধারণ কপির মতোই চাষাবাদ করতে হয় শুধু জৈব সার বেশি প্রয়োগ করতে হয়।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK