উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বিএনপি যখনই কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয় তখনই রেলে নাশকতার ঘটনা ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রেলমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, রেলের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজকের ঘটনার জন্য ডিভিশনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তাদেরকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রেলে আগুন লাগার ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে রেলমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে তখনই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এর অর্থ যারা কর্মসূচি দিচ্ছে তারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। যাত্রী হয়ে গান পাউডার নিয়ে রেলে উঠলে কিভাবে আমরা বুঝবো তারা নাশকতা করার জন্য উঠেছে। আমরা চেষ্টা করছি। রেলকে তারা আগুনের হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। কেউ যদি পরিকল্পিত সহিংসতা করে তাহলে কখনোই নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে রেলের এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেলে আক্রমণ হলেও আমরা রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা এখন নাশকতায় রুপ নিয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর টাঙাইলে একটি রেলে আগুন দেওয়া হয়। এরপর জামালপুরে আগুন দেওয়া হয় ১৯ তারিখে। ২২ তারিখে আগুন দেওয়া হয় সিলেটে। গাজীপুরে রেললাইন কাটা হয় ১৩ ডিসেম্বর। এই ঘটনাগুলো একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কিত।
রেলে নাশকতা ফৌজদারি অপরাধ উল্লেখ করে সুজন পূর্নাঙ্গ ঘটনা জানার আগ পর্যন্ত এ ব্য্যাপারে কোনো মন্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। রেলে নাশকতা কেন ঠেকানো যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের ট্রেনে এক্সেস কন্ট্রোল এর ব্যবস্থা নেই। তাই রেলের ভেতরের নিরাপত্তা জোরদার করা যাচ্ছেনা। তবে ঝুকিপূর্ণ স্টেশনের বাইরে ট্রলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেলের নিরাপত্তা বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৭০০ আনসার মোতায়েনের আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবেন। এদিকে, ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরেকটি রেল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
উত্তরণবার্তা/এআর