সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৪৬
ব্রেকিং নিউজ

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে সমৃদ্ধ শরীয়তপুর

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে সমৃদ্ধ শরীয়তপুর

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপির নেতৃত্বে গড়ে উঠছে সমৃদ্ধ শরীয়তপুর। পাঁচ বছর আগেও দেশের পিছিয়ে পড়া জেলার নাম ছিল শরীয়তপুর। আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতার ফলে সময়ের ব্যবধানে দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে গড়ে উঠতে শুরু করেছে শরীয়তপুর। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর স্বাগতিক জেলা, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চারলেন সড়ক, শত বছরের ভাঙনমুক্ত নড়িয়া, জাজিরা, সখিপুর, অর্থনৈতিক জোন, তাঁতপল্লী, কৃষি স্বনির্ভর, পর্যটন জেলা হিসেবে সম্ভাবনার নতুন হাতছানি ঘিরে শরীয়তপুর এখন সমৃদ্ধ জেলার তালিকায়। তরুণ নেতৃত্ব নির্ভর জেলাটি এখন সারাদেশের মানুষের নজরে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলার পথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সরকারের পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রনেতা একেএম এনামুল হক শামীম এমপি। জেলার অপর দুটি আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, নাহিম রাজ্জাকও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তিন সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগ একসঙ্গে জেলার উন্নয়নে কাজ করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একসময় গণমাধ্যমগুলোতে নড়িয়া-সখিপুরে মানুষের বসতভিটা হারানোর আহাজারির ছবির সংবাদ থাকতো বড় আকারে। সেখানে নড়িয়া এখন দৃষ্টি কাড়ছে পর্যটন এলাকা হিসেবে। জাজিরা হতে সখিপুর পর্যন্ত কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তীর এখন পর্যটন আকর্ষনীয় স্পট। করোনা সংকটেও উপমন্ত্রী শামীমের নেতৃত্বে পদ্মার ভাঙনরোধ করার কাজ এগিয়ে নেয়া হয়। নড়িয়া-সখিপুরসহ সমগ্র শরীয়তপুরকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান ও ১হাজার ১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘাতক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা দেশ যখন অবরুদ্ধ, আতঙ্কিত ছিল, তখন জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম ।তিনি করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চবার নিজ নির্বাচনি এলাকা সফর করেছেন এবং অবস্থানও করেছেন বেশি সময়। ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনি এলাকার ২৫টি ইউনিয়নে ৬৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম সুমন খালাসী বলেন, ২০১৮ সালের পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবতেও পারি নাই পদ্মার ভাঙন কোনদিন রোধ হবে। কিন্তু আমাদের সকল ভাবনাকে হার মানিয়ে ২০১৯ সালে এই স্থায়ী রক্ষাবাঁধটির কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে আর কোন ভাঙন দেখতে হয়নি। বাঁধের পাশের জমিতে আবার নতুন করে ঘর-বাড়ি করে এখন নিশ্চিন্তে পরিবার নিয়ে ঘুমাতে পারছি। অনেকেই পাকা বাড়ি করেছে। মানুষ এখন বিকেলে এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শামীম ভাইয়ের মাধ্যমে বেরি বাধ, রাস্তাÑঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের ফলে আমরা নবজীবন ফিরে পেয়েছি।

শরীয়তপুর জেলা সদরের টাইলস ব্যবসায়ী ইলিয়াস ঢালী বলেন, আমাদের এক সময় স্বপ্ন ছিল পদ্মাসেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হার না মানা সাফল্যে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের পর আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা শুরু। ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ কল্পনাকেও হার মানিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে। পদ্মার ডান তীর রক্ষাবাঁধ বাস্তবায়নের ফলে নড়িয়া অঞ্চলের প্রবাসীদের পাকা স্থাপনা নির্মাণের ফলে টাইলস ব্যবসায় নতুন গতি সঞ্চারিত হতে থাকে। যা এক সময় আমাদের জন্য ছিল কেবলি ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্ন। উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে ইকবাল হোসেন অপু ও নাহিম রাজ্জাকের সমন্বয়ে জেলাব্যাপী শুরু হয় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। এর মধ্যদিয়ে ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবসায় আশাতীত গতিশীলতা আসে। কাজের সুযোগ তৈরি হয় হাজার হাজার শ্রমিকের।

শরীয়তপুর বাস মালিক পরিমল দত্ত বলেন, প্রায় ৩০ বছর থেকে আমরা পরিবহন ব্যবসা করে এলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত লোকসানের মুখে পড়ে আমরা নিঃশেষ হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র পরশে শুধু পদ্মা সেতুই চালু হয়নি, চালু হয়েছে আমাদের থেমে থাকা ভাগ্যের চাকা। উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও নাহিম রাজ্জাক এমপিগণের সমন্বয়ে উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা শরীয়তপুর জেলা দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে। শরীয়তপুর সদর বাস স্ট্যান্ডসহ সকল উপজেলা সদর থেকে সরাসরি ঢাকায় আড়াই শতাধিক বাস চলাচলই বলে দেয় আমরা কত দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছি।

নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিহির চক্রবর্তী বলেন, ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত আমাদের এই জনপদ ছিল একটি আতংকের জনপদ। প্রতি বর্ষায়ই চোখের সামনে দেখতে হয়েছে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে হাজারো পরিবারের সব হারানোর আর্তনাদের দৃশ্য। ২০১৮ সালেই এই এলাকার সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে, নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বাপ-দাদার ভিটে-মাটি। তখন এই এলাকার মানুষের কাছে পদ্মার ভাঙন রোধ ছিল স্বপ্ন। কিন্তু এনামুল হক শামীম উপমন্ত্রী হওয়ার পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। ২০১৯ সালের পর নড়িয়ার একটি পরিবারকেও পদ্মার ভাঙনের কবলে পরতে হয়নি। এ যেন স্বপ্নকেও হার মানানো রূপকথার গল্প। নদী ভাঙনের গল্প এখন কল্প কাহিনী। এ অঞ্চলের মানুষ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নেও জোরকদমে এগিয়ে চলছে। মুলফৎগঞ্জ পদ্মা পাড়ের স্থায়ী রক্ষাবাঁধ ‘জয়বাংলা এভিনিউ’ এখন আনন্দ উদ্যাপনের স্থান। অবসরে বিনোদন প্রেমীদেরকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পদ্মার ভাঙনে সব হারানোরা এখন কাজের মাধ্যমে নিজেদেরকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নে বিভোর।

সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের নজর এড়িয়ে যায়নি কোন কিছুই। নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানায় ইমাম, মুয়াজ্জিন, অস্বচ্ছল আলেম, জেলে সম্প্রদায়, চরের ভাসমান মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, দিনমজুর, প্রতিবন্ধী, মুচি, বেদে সম্পদ্রায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মানবিক সহায়তা হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক। ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয় রোগীর কাছে ডাক্তার’ কর্মসূচি চালু করে সারাদেশে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। প্রায় ১ বছর অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে নড়িয়া ও সখিপুরের করোনায় আক্রান্ত ঘরবন্দি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। নিজস্ব তহবিল থেকে দুটি চিকিৎসক টিম গঠন করে ঘরবন্দি মানুষকে বাড়িতে গিয়েই চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছেন।তিনি নির্বাচনি এলাকায়  (নড়িয়া ও সখিপুর) প্রায় ৬ হাজার গভীর নলকূপ প্রদান করেছেন। সবশ্রেণী-পেশার মানুষকে নলকুপ প্রদান করেছেন। যার কারণে নড়িয়া-সখিপুরে বিশুদ্ধ পানির সংকট নেই বললেই চলে।

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নড়িয়া, সখিপুরে দুর্গম চরাঞ্চলের ৭০ হাজার মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম। নড়িয়া উপজেলার চর নওপাড়া ও চরআত্রায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা, উত্তর তারাবুনিয়ায় এবং জাজিরার কুন্ডেরচরের বহু মানুষ এর আগে বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। কুপি ছিল ভরসা। সেখানে এখন বিদ্যুতের আলো।  নড়িয়া-সখিপুরে বিদ্যুতের জোনাল অফিস স্থাপন এবং সাবস্টেশনসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন সাবস্টেশনের অনুমোদন করেছেন। নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ¯েœহধন্য এনামুল হক শামীম উপমন্ত্রী হয়েছেন বলেই নড়িয়া-সখিপুরে শিক্ষা বিস্তারেও তিনি ভূমিকা রাখতে পেরেছেন। প্রত্যেকটি আবেদনকৃত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হয়েছে। ১৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ভবন ও দেয়াল নির্মাণ করেছেন।

নড়িয়া সরকারী কলেজ ও হাজী শরীয়ত উল্লাহ কলেজসহ সকল কলেজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিকরণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। চরভাগা ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি করা হয়েছে। তিনি চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর এবং রাজনগর ও কাঁচিকাটায় উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং প্রায় ৮০০টি মসজিদ-মাদ্রাসা ও ২৫টি মন্দিরে নগদ অর্থ ও অনুদান প্রদান করেছেন।  নড়িয়া ও সখিপুরে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ও সখিপুর থানা ভবন, সখিপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, এএসপি সার্কেল অফিস নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা উড়াল সেতু, জয় বাংলা ঘাটলা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়াতে জয়বাংলা সেতু নির্মাণ এবং প্রায় ২০০টি বাঁশের সাঁকোকে কাঠের পুলে রূপান্তর করেছেন। নড়িয়া ও সখিপুরে সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ মেরামত ও বর্ধিতকরণ করেছেন।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জোবায়দা হক অজন্তা বলেন, আমাদের এলাকার এমপি এনামুল হক শামীম বিগত পাঁচ বছরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা বিগত ১০০ বছরেও হয়নি। তিনি আমাদের এই জনপদের চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নড়িয়ায় নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলমান এবং মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল আধুনিকরণ ও তারাবুনিয়ায় বন্ধ থাকা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু করেছেন। বেগম আশ্রাফুন্নেছা হাশেম ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র পক্ষ থেকে ১১০ জনকে ৩৫ লক্ষ টাকা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২শ’ জনকে ২০ লক্ষ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।  

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম নড়িয়া ও সখিপুরের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও হাফেজদের প্রায় ৫০০০ পবিত্র কোরআন শরীফ উপহার দিয়েছেন। চরভাগায় বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজের অনুমোদন ও কাজ চলমান রয়েছে। নড়িয়াতে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অনুমোদন এবং নড়িয়াতে লাইব্রেরী ও মুক্তমঞ্চ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।অজন্তা আরো বলেন, নড়িয়াতে পানি ভবন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ডিভিশন, কীর্তিনাশা ডাকবাংলো ও চরআত্রায় আঃ জলিল মুন্সি ডাকবাংলো নির্মাণ এবং সখিপুরে ডাকবাংলো নির্মান করা হচ্ছে। নড়িয়া পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণিতে রূপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও পৌরসভাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তকরণ, যার মাধ্যমে এ বছরই ৫০ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে।

জোবায়দা হক অজন্তা আরো বলেন, নড়িয়া ও সখিপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। নড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন হয়েছে এবং সখিপুরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সখিপুর উপজেলা গঠনের কাজও শেষ পর্যায়ে। নড়িয়ায় উপজেলা কার্যালয়, ভূমি অফিস নির্মাণ ও মডেল মসজিদ নির্মাণ। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নড়িয়ায় ৯০০ এবং সখিপুরে ৬০০ সর্বমোট ১৫০০ পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান এবং ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ২০০ পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকার ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান করেন নিয়মিত। নড়িয়া ও সখিপুরে প্রায় ১৪ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন ও ৪২ লক্ষ টাকা প্রদান  করেছেন।  চরভাগায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম মিয়া অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি সব ধরণের ভাতা সুষম বন্টন করেছেন।

শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শরীয়তপুরের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। গোটা শরীয়তপুর জুড়েই চলছে উন্নয়নযজ্ঞ। মেঘনা সেতু (শরীয়তপুর-চাঁদপুর) করার প্রক্রিয়া চলমান। ৫০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ করে মেঘনা সেতু থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত পিএমএম পদ্ধতিতে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। তিনি বলেন,পদ্মা সেতুর নাওডোবা অ্যাপ্রোচ সড়ক হতে শরীয়তপুর সদর পর্যন্ত এবং শরীয়তপুর হয়ে আলুবাজার ফেরীঘাট পর্যন্ত চারলেন রাস্তার জন্য ২৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন ও কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে। বিশ্ববিদল্যায়টি প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এনামুল হক শামীম। জেলার সার্বিক ম্যাজিক্যাল উন্নয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীরকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমার এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। আমার চরাঞ্চলে গেলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ’বাজান’ বলে জড়িয়ে ধরে, এটাই আমার প্রাপ্তি। এজন্য সর্বাগ্রে মহান আল্লাহ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে কৃতজ্ঞ।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ