বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৪৪
ব্রেকিং নিউজ

আগুনসন্ত্রাসী বিএনপির দেয়া আগুনে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী দগ্ধ

আগুনসন্ত্রাসী বিএনপির দেয়া আগুনে বাসের চালক ও তাঁর সহকারী দগ্ধ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : সারা দেশে চলমান বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে আগুনসন্ত্রাসী বিএনপি। এ ঘটনায় বাসের চালক ও তাঁর সহকারী দগ্ধ হন। আজ সোমবার সকালে তাঁদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রামের আকবর শাহ মাজারের সামনে দামপাড়া এলাকায় রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন– ঢাকা দোহারের নবাবগঞ্জ থানার ছোট বক্সনগর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে সিকদার মো. তরিকুল ইসলাম (৪০) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ছদগা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন (২০)। তরিকুল ওই বাসের চালক এবং নাজিম উদ্দিন চালকের সহকারী।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই বাসের সুপারভাইজার আব্দুর রহিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার অপেক্ষায় ছিল রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট নামের যাত্রীবাহী বাসটি। তখন অবরোধকারীদের একটি মশাল মিছিল আমাদের গাড়ির সামনে দিয়েই যাচ্ছিল। আমি তখন গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ ৮/১০ জন অবরোধকারী বিএনপি কর্মি আমাদের গাড়ির বিভিন্ন অংশের কাঁচ ভাঙতে থাকলে আমি তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করি। কিন্তু এতে তারা কোনো কর্ণপাত না করে পলিথিনে মোড়ানো পেট্রোল আমাদের গাড়ির ভেতর ছুড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। তখন গাড়িতে যাত্রী না থাকলেও চালকের আসনে ছিল তরিকুল ইসলাম ও তার পাশে দাঁড়ানো ছিল হেলপার নাজিম উদ্দিন। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নেভাতে থাকে। কিন্তু ততক্ষণে ওই বিএনপি আগুনসন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’

আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘দগ্ধ অবস্থায় তাদের দুজনকে প্রথমে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে আজ সকালের দিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন তরিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালের দিকে চট্টগ্রাম থেকে দগ্ধ অবস্থায় বাসের চালক ও সহকারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলামের শরীরের শতকরা ২৫ শতাংশ এবং নাজিম উদ্দিনের শতকরা ২ শতাংশ পুড়ে গেছে। নাজিমুদ্দিন আশঙ্কামুক্ত হলেও তরিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ