শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:৩৬

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির শঙ্কা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে, দেশের চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের পাশাপাশি এখন কিছু নদী বন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা। সূর্য না দেখা যাওয়ায় তাপমাত্রাও বেশ কমে এসেছে। শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বাতাসে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সকালে ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, দুপুরে এটি আরও এগিয়ে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, দুপুরে ছিল ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন আছে ৫৯০ কিলোমিটার  দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ কারণে আগের মতই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব বা উত্তর-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত  দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব বা উত্তর-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেমে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ