শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১২:৪৯

তাদের চোখে-মুখে এখনো বাসে বাসে দেয়া আগুনের বিভীষিকা

তাদের চোখে-মুখে এখনো বাসে বাসে দেয়া আগুনের বিভীষিকা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : আবারো অবরোধকারীদের আগুন সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নিম্নবৃত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাসে আগুন দিতে গিয়ে হাতেনাতে আটক হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেয়ার জন্যই হরতাল-অবরোধের নামে ঘটানো হচ্ছে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা। যেখানে আগুন সন্ত্রাসীদের মূল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।

যন্ত্রণার জ্বালা কেমন, সাধারণ কেউ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও রিকশাচালক আব্দুল সাত্তার ঠিকই আঁচ করতে পারছেন। অবরোধকারীদের দেয়া আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করা মানুষটির কণ্ঠেও উঠে আসছে বিচারের দাবি। সাত্তারের মতো হাসান, বিপ্রজিৎ, রবিউল আর সবুজদেরও একই অবস্থা। এখনও তাদের চোখে-মুখে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসীদের বাসগুলোতে দেয়া আগুনের বিভীষিকা।


 

আগুন সন্ত্রাসীদের দেয়া এ আগুনে দগ্ধ হওয়া বেশিরভাগই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের এমন অবস্থায় রাস্তায় বসার হাল এখন পরিবারগুলোর। তবে কারা এই আগুন সন্ত্রাসী? বাসে আগুন দেয়া প্রতিরোধ করতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন। এদের প্রত্যেকেই বিএনপি ও এর সমমনা দলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

বিএনপির এমন হেয় কর্মকাণ্ডের সাথে মিল পাওয়া যায় ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত অসংখ্য যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে জলজ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার অপরাজনীতির সাথে। যেন আবারো সেই পথেই হাটছে তারা। বিএনপিকে উদ্দেশ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে, তখন সেই যাত্রাকে ব্যাহত করে আবারো দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্যই হরতাল-অবরোধের নামে ঘটানো হচ্ছে এসব ঘটনা। বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে বিদেশি কোনো শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে শুধু রাজধানীতেই প্রায় ৮০টি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। যেখানে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়ে প্রাণ গেছে একজনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ