বিএনপি নেতা আমিনুল হক কারাগারে

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক :  নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক ফুটবলার ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন-ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া। ১০ নভেম্বর শুক্রবার  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইউসুফ মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১ নভেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। ২ নভেম্বর ওই তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকে সরকারবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা সমাবেশে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। ওই উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দুষ্কৃতিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে। একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়া পল্টন ও বিজয়নগরে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শটগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
উত্তরণবার্তা/এআর