ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের পালপাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : পিতৃপক্ষ পেরিয়ে আর তিন সপ্তাহ পর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট পালপাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা। এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করে তুলতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে পূজা উদযাপন পরিষদ।১ অক্টোবর শনিবার সকালে সরেজমিনে ভদ্রঘাট পালপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিকসহ নানা ধরনের প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন কারিগরেরা। যেন দম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের।
প্রতিমা তৈরি শেষ। এখন চলছে তাতে রঙের কাজ। কাজের চাপ বাড়তে থাকায় পুরুষ কারিগরদের এ কাজে সহায়তা করছে গৃহবধূরা। তবে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, খড়, রঙসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় খুব একটা লাভ হয় না বলে জানান কারিগরেরা। ভদ্রঘাট পালপাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রীকান্ত পাল ও দীলিপ পালের ভাষ্য, চলতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভদ্রঘাট পালপাড়ায় ২০০ প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। এসব প্রতিমা স্থানীয় উপজেলা, জেলাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করা হবে। তবে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা বিক্রি করে খুব একটা লাভ হবে না।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত কুমার দাস বলেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এবাবের দুর্গোৎসব আনন্দমুখর ও নির্বিঘœ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এবছর দেবী দুর্গা আসছে ঘটকে করে যাবেও ঘটকে করে। আগামী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।’কামারখন্দ থানার ওসি মোহা. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরের মত এবছরও ভদ্রঘাটের পালপাড়ায় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে পুলিশি টহল আরও জোরদার করা হচ্ছে।’
উত্তরণবার্তা/এআর