উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রতিপােদ্য জেলায় আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে।সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল কবীরের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. সেলিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হোসেন খান, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদ হোসেন শুকুর, এনজিও ফোরামের জেলা আহ্বায়ক জিয়াউল আহসান, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের আজীবন সদস্য সালেহা বেগম, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জুয়েলা খন্দকার।
জেলা প্রশাসক বলেন- প্রবীণদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা, জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩ প্রণয়ণ, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩ ও বিধিমালা- ২০২৩ প্রণয়ণ, বয়ষ্কভাতার প্রচলণ, বিধমা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের ভাতা প্রদানসহ প্রবীণদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় প্রবীণদের সমাজে সম্মান বাড়ছে এবং তারা এখন আর পূর্বের মত নিজেদের অসহায় মনে করে না।তারা জানেন এ সমাজের বিবেকবান মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের সাথে আছে।অন্যান্য বক্তারা বলেন- প্রবীণদের জন্য ৮ বিভাগে ৮টি শান্তিনিবাস স্থাপনসহ প্রবীণদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং এখনকার তরুণদের এটা বোঝাতে হবে যে, তোমরাও একদিন প্রবীণ হবে।
উত্তরণবার্তা/এআর