রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৮:৩৫
ব্রেকিং নিউজ

কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণের ১১৭তম জন্মদিন উদযাপন

কুমিল্লায় শচীন দেব বর্মণের ১১৭তম জন্মদিন উদযাপন

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : শনিবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব শচীন দেব বর্মণের জন্মদিন। এসডি বর্মণের জন্ম ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ অক্টোবর বাংলাদেশের কুমিল্লায়।জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্ম জেলা কুমিল্লায় আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। রোববার সকাল ১০ টায় নগরীর উত্তর চর্থায় শচীন দেবের পৈত্রিক বাড়িতে তার ম্যুারালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। পরে জেলা পুলিশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইন্সটিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্র, কুমিল্লা কালচারাল কমপ্লেক্স, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোট, ইউসুফ হাই স্কুল, পথিকৃত কুমিল্লা চারু শিল্পী পরিষদ, সংলাপ কুমিল্লা, যাত্রী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর উপস্থিত সবাই ‘আমি তাক ধুম তাক ধুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ তাঁর এই কালজয়ী গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন।

শচীন দেব বর্মণ ছিলেন একাধারে জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, গায়ক ও লোকসঙ্গীত  শিল্পী। সঙ্গীত জগতে তিনি এসডি বর্মণ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। একশো বছর পার হওয়ার পরও বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন একটুও কমেনি।ত্রিপুরার বিখ্যাত চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজপরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তার বাবা নবদ্বীপ চন্দ্র দেববর্মণ ছিলেন একজন সেতারবাদক এবং ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী। আর মা মণিপুরি রাজবংশের মেয়ে নিরুপমা দেবী।

জানা যায়, ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং ওই কলেজ থেকে আইএ পাস করেন শচীন দেববর্মণ। পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর কলকাতা চলে আসেন এবং ভর্তি হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলকাতায় লেখাপড়া করার সময়ই তিনি গায়ক হিসাবে পরিচিতি পান।

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে অল ইন্ডিয়ান মিউজিক কনফারেন্সে তিনি গান গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্সে ঠুমরি পেশ করে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁকে মুগ্ধ করেছিলেন। শেখ ভানুর লেখা ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে’ দেহ ও সাধনতত্ত্বের এই গানটিকে তিনি প্রেমের গানে রূপান্তর করলেন কবি জসীমউদ্দীনকে দিয়ে। তার কণ্ঠে গাওয়া গানটি রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে যা এখনও সমান জনপ্রিয়।তার পাওয়া পুরস্কারের মধ্যে -বেঙ্গল সর্বভারতীয় সঙ্গীত সম্মেলনে স্বর্ণপদক, সঙ্গীত নাটক একাডেমি অ্যাওয়ার্ড এশিয়া ফিল্ম সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড, সেন্ট হরিদাস অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য। এই কালজয়ী সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ অক্টোবর প্যারালিটিক স্ট্রোক হয়ে মারা যান।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK