রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০১:১১
ব্রেকিং নিউজ

এ বছরই শেষ হচ্ছে গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি

এ বছরই শেষ হচ্ছে গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : দেড়যুগ আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে নারকীয় গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিল শুনানি চলমান রয়েছে হাইকোর্টে। চলতি বছরেই শুনানি শেষ হতে পারে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকবে বলেই আশা রাষ্ট্রপক্ষের। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ করার পর পরই শুরু হয় একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ। মুহূর্তেই রক্তাক্ত হয় সমাবেশস্থল, গগনবিদারী আর্তচিৎকারে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।

হামলায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন, আহত হন কয়েকশ’ নেতাকর্মী।  মঞ্চে উপস্থিত নেতারা বিস্ফোরণের মধ্যে মানববর্ম তৈরি করায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে নষ্ট হয়ে যায় তাঁর শ্রবণশক্তি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও খালেদার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, “ট্রায়েল কোর্টের জার্জমেন্টের পুরোটাই পড়েছি। আমরা দেখাব যে, অত্যন্ত যুক্তি তুলে ধরে আইন বিশ্লেষণ করে সুন্দর একটা রায় দিয়েছেন, সেই রায়টা বহাল রাখার জন্য আবেদন করবো।”২১ আগস্ট গ্রেনড হামলা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন, আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরেই শুনানি শেষ হতে পারে বলে জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। এএম আমিন উদ্দিন বলেন, “প্রায় ৩ হাজার পাতা ওনাদের পড়া শেষ। একশ’ থেকে ২শ’ পাতা বাকি আছে, এটা শেষ হলে আর্গুমেন্ট আরম্ভ হবে।”মামলার শুনানির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আরও ১০ থেকে ১২ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
উত্তরণবার্তা/এআর

 

 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK