সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০১:১১
ব্রেকিং নিউজ

নভেম্বরে বিমসটেক সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

নভেম্বরে বিমসটেক সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিটে যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানান।
 
তিনি বলেন, আজ দুপুরে পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে বিমসটেকের চেয়ার হচ্ছে। সুতরাং যেসব ইস্যু আছে। সেগুলো আমাদের ওপরও বর্তাবে। সেজন্য নতুন চেয়ার কী ভাবছে, সেগুলোও হয়তো তারা দেখছেন। তাছাড়া ভারতের সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছে, সুতরাং সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্যই তিনি এসেছেন।
 
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সামিটে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে এ মাসের ১৭ তারিখে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের মিটিং হবে। প্রথমবারের মতো এটি থাইল্যান্ড আয়োজন করেছে।
 
সচিব বলেন, ভারতের লিড এরিয়া সিকিউরিটি রিলেটেড ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু বিমসটেক সচিবালয় পরিচালনা করে, তাই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের আলাপের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমাদের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল ভুটানে, তার টার্ম শেষ হবে ৫ নভেম্বর। এর পরের টার্ম ভারতের। তারাও পরবর্তী সেক্রেটারি জেনারেল ঠিক করছেন। একদিকে তারা সেক্রেটারি জেনারেলশিপ নেবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ চেয়ারম্যানশিপ নেবে ডিসেম্বরের দিকে।
 
তিনি বলেন, বিমসটেকের রোড ও রেলের বাইরে বিদ্যুতের গ্রিড কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই। আমরা যে বিমসটেক ফ্রি ট্রেড করতে চাই, সেটি কেন হচ্ছে না তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। আগামীতে বাংলাদেশ চেয়ারম্যান হলে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কীভাবে কাজ করতে পারি, সেটি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিমসটেকের দেশগুলোর মধ্যে মানি লন্ডারিং, ড্রাগ ট্রাফিকিং প্রতিরোধে সহযোগিতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদল আসছে। এ তারিখগুলো আগে থেকেই নির্ধারিত। সুতরাং ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসলেন, এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে। এ রকমই একটা দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। কিছু ক্ষেত্রে সিরিজ অব ভিজিট অ্যান্ড মিটিংস হয়, আমাদের দেশে তো কমই হয়। প্রত্যেকটারই আলাদা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।
উত্তরণবার্তা/এসএ
 
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ
আরও সংবাদ