মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১১:৪৩
ব্রেকিং নিউজ

ব্যারিস্টার রফিকের অবস্থা ক্রিটিক্যাল

ব্যারিস্টার রফিকের অবস্থা ক্রিটিক্যাল

উত্তরণ বার্তা প্রতিবেদক :  প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল।  তাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।  এ তথ্য জানিয়েছেন আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের অবস্থা অবস্থা ক্রিটিক্যাল।  মঙ্গলবার রাত থেকে তার শরীর খারাপের দিকে যায়। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে।  তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।  ডা. নাহিদ জানান, ব্যারিস্টার রফিক সাড়া দিচ্ছেন।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান।  কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।  জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।  তিনি রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনও আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।  তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

৮৫ বছর বয়সী রফিক-উল হকের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনের শুরু ১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়েছিল তাকে।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

ওই সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে।  এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারায় কোর্টে আসতে পারেননি।  বেশ কয়েক বছর ধরে বাসা আর হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন তিনি।

উত্তরণ বার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK