শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:২২

ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ যে কোন মহামারী মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় জরুরি : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ যে কোন মহামারী মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় জরুরি   :  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যতে যে কোন মহামারী মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।তিনি বলেন, আগামীতে কোভিডের চেয়ে অধিক বিপদ আসবে না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। এজন্য তিনি একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক প্লাটফর্ম তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।এ সময় মন্ত্রী বলেন, ওয়ান হেলথ বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ধারণায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে করোনা সংকটে ওয়ান হেলথ এর প্রয়োজনীতা আমরা উপলব্ধি করেছি। এ জন্য ১১তম ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ কনফারেন্স আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বে প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রামক রোগ প্রাণী থেকে উদ্ভব হয়ে মানুষের মধ্যে প্রাদুর্ভাব তৈরির ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি মাথায় রেখে গবাদিপশুতে রোগের প্রাদুর্ভাব সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থা গ্রহনে শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ওয়ান হেলথ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিরোগ প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থা গ্রহনে সক্ষমতা উন্নত করতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রাণী রোগ নির্ণয়ে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি পরিচালনা, রিয়েল-টাইম ডাটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিংয়ের জন্য বাংলাদেশ অ্যানিমেল হেলথ ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি অন্যতম।মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ান হেলথ এর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান হেলথ বিষয়ক একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে এবং ওয়ান হেলথ সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।

ওয়ান হেলথ এর কার্যক্রম শুধু ঢাকা শহর বা বিভাগীয় শহরে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না বরং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।  অনুষ্ঠানে পরিবেশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্দান জং রানা এবং ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ-এর জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওয়ান হেলথ সচিবালয়ের চেয়ারম্যান ও আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ