শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ২১:৫৪
ব্রেকিং নিউজ

ঢাকার পর্দায় ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজের নতুন ছবি

ঢাকার পর্দায় ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজের নতুন ছবি

উত্তরণবার্তা  ডেস্ক : ফের নতুন মিশন নিয়ে আসছে দুনিয়া মাত করা ট্রান্সফরমাররা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে এ যাবৎ ৬ বার তাদের ভেলকি দেখেছে বিশ্ব। ছোট বড় সবাই যেন আপন করে নিয়েছে অদ্ভুত ক্ষমতাধর এই যন্ত্রমানবদের। আর তাই একটা ছবি শেষ হওয়ার পরই আরেকটি ছবির জন্য তুমুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে সবাই। সবশেষ ২০১৮ সালে পর্দায় এসেছিল সিরিজের ষষ্ঠ ছবি ‘বাম্বলবি’। এবার তাদের সপ্তম মিশন। প্রায় পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে আগামী ৯ জুন পর্দায় আসছে ‘ট্রান্সফরমার্স: রাইজ অব দ্য বিস্টস’। বাংলাদেশের ভক্তরা আন্তর্জাতিক মুক্তির দিন থেকেই ছবিটি দেখতে পারবেন স্টার সিনেপ্লেক্সে।

‘ট্রান্সফরমার্স’-এর গল্পের শুরুটা প্রাগৈতিহাসিক সময়ে। অজ্ঞাত ভিনগ্রহবাসীদের আগ্রাসনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া ডাইনোসরেরা মানব সভ্যতার ইতিহাসের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়। এরপরের দৃশ্যপট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস। যেখানে এক স্বাধীন উদ্ভাবক কেইড ইয়োগার (মার্ক ওয়ালবার্গ) ভাগ্যচক্রে পেয়ে যান অপটিমাস প্রাইমকে। মানুষের বন্ধু অটোবটরা মানুষেরই হামলার লক্ষ্যে পরিণত হওয়ায় যে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়েছিল।

অন্যদিকে এক কর্পোরেট উদ্ভাবক আবিষ্কার করে বসে কোন উপকরণ দিয়ে তৈরি ট্রান্সফরমাররা। শুরু হয় নতুন দ্বন্দ্ব। ২০০৭ সাল থেকেই মূলত ট্রান্সফর্মারদের গল্পের শুরু। প্রথম সিনেমার পর থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির একটি ভক্তমহল গড়ে ওঠে। ভিনগ্রহবাসী অটোবট আর ডিসেপটিকনদের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বেশ কয়েকবার কাহিনিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

‘বাম্বলবি’ ছবিতে যেমন অ্যাকশন ছাড়াও ঠাঁই পেয়েছে আবেগ আর ভালোবাসা। সেখানে দেখা গেছে, একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে বাম্বলবিকে উদ্ধার করে ওয়াটসন। এরপর সে আবিষ্কার করে তার গাড়িরও রয়েছে মানুষের মতো চোখ। এরপরই গাড়ি থেকে রোবটে পরিণত হয় বাম্বলবি। পরে বাম্বলবির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ওয়াটসনের। ছবিতে চার্লি ওয়াটসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাইলে স্টেইনফেল্ড। এ ছবির মাধ্যমে দর্শককে মনে করিয়ে দেবে বার্নি ম্যাক অভিনীত প্রথম ট্রান্সফরমার্স ছবির কথা। যেখানে চার্লি উইলসনকে দেখা যায় বাম্বলবিকে ক্যালিফোর্নিয়ার বিচ টাউনের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার করতে।

এবারের সিক্যুয়ালের প্রেক্ষাপট ১৯৯৪ সাল। প্রাক্তন সামরিক ইলেকট্রনিক্স বিশেষজ্ঞ নোহ এবং আর্টিফ্যাক্ট গবেষক এলিনাকে নিয়ে গল্প এগিয়েছে। ট্রান্সফরমার রেসের তিনটি উপদল- ম্যাক্সিমালস, প্রেডাকনস এবং টেররকনস এর মধ্যে একটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। নোহ ও এলিনা ম্যাক্সিমালসের দল অপটিমাস প্রাইম এবং অটোবটকে একটি যুদ্ধে সাহায্য করেন। পৃথিবীকে একটি আসন্ন অন্ধকারের আগমন থেকে রক্ষা করাই ছিল যে যুদ্ধের মূল কারণ, যার মূলে ছিল ইউনিক্রন। অসাধারণ ভিএফএক্স এবং ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে বরাবরই চোখ ধাঁধিয়েছে ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজ।

‘দ্য ল্যান্ড’ ও ‘ক্রিড টু’ খ্যাত পরিচালক স্টিভেন ক্যাপল জুনিয়রের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি রামোস, ডমিনিক ফিশব্যাক ও লুনা লরেন ভালেজ। এ ছাড়া অপটিমাস প্রাইম ও অপটিমাস প্রাইমালের নেপথ্যে আছেন যথাক্রমে পিটার কুলেন ও রন পার্লমান। ১৯৯০ এর দশকের প্রেক্ষাপটে ‘রাইজ অব দ্য বিস্টস’-এর চিত্রায়ণ হয়েছে ব্রুকলিন ও পেরুতে। একই দশকের তুমুল জনপ্রিয় এনিমেটেড সিরিজ ‘বিস্টস ওয়ার্স: ট্রান্সফরমার্স’ থেকে সিনেমাটি অনুপ্রাণিত।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK