উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনকে জেরা অব্যাহত রয়েছে।
৭ জুন বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করেন সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার আইনজীবীরা। তবে এদিন জেরা সমাপ্ত না হওয়ায় আগামী ১৪ জুন জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।
এদিন কারাগারে থাকা তিন আসামি শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য এই মামলায় প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অপর আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। এরপর তদন্ত করে দুদক পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এদিকে গত বছরের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এ সময় তারা পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতারকৃতদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। বর্তমানে সেখানে তাদের বিচারকাজ চলছে।
উত্তরণবার্তা/এআর