রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৮:৪৬
ব্রেকিং নিউজ

হাঁড়িভাঙা আম রংপুরের আশীর্বাদ

হাঁড়িভাঙা আম রংপুরের আশীর্বাদ

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : হাঁড়িভাঙা আম রংপুরের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আম চাষ প্রতিবছর করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন অনেক কৃষক। সুমিষ্ট ও আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। চলতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙা আম বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা। 
 
জানা যায়, আগামী ২০ জুন হাঁড়িভাঙা আম আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে। চলতি বছর আগেভাগেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ৫০ কোটি টাকার আম রপ্তানির অর্ডার পেয়েছেন। আমের দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন। ফসলি জমি, বাগানসহ উঁচু-নিচু ও পরিত্যক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে হাঁড়িভাঙা আম। চলতি বছর ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে হাঁড়িভাঙা আম। দেশের বিভিন্ন স্থানে আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। 
 
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে মিলবে হাঁড়িভাঙা আম। নির্ধারিত সময়ে বাগান মালিক ও চাষিরা গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম তুলে শুরু হবে বাজারজাত। আবহাওয়া প্রতিকূল ও তীব্র গরম থাকলে জুনের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি শুরু হবে।
 
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে হাঁড়িভাঙা আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আম রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন। ৫৫টি বাগান মালিকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আগাম অর্ডার ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে।
 
জানা গেছে, লালমাটি ও কাদাযুক্ত এলাকায় হাঁড়িভাঙার উৎপাদন ভালো হয়। জেলার রংপুর সদর, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ উপজেলার লাল মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর,পদাগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ি, মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ, রানীপুকুর ও বলদিপুকুর এলাকার প্রায় সব গ্রামে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে এই আম বাগানগুলো। 
 
মিঠাপুকুর উপজেলার তেকানি গ্রামের চাষি শাহজাহান মিয়া বলেন, বিগত বছরের মতো এবার হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিবছর কম-বেশি শত কোটি টাকার ওপরে আম বিক্রি হয়। তবে হাটে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছি। 
 
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, জেলায় ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। তবে এ বছর এক মাসের অধিক দাবদাহ থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। একটি হাঁড়িভাঙা আমের ওজন ২০০ থেকে সাড়ে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঝড় কিংবা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন ক্ষতি হয়নি। 
 
উত্তরণবার্তা/এফ শাহ
 

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK
আরও সংবাদ