মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ০৯:৪৬

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : বাতাসের প্রচণ্ড গতি নিয়ে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঝড় শুরু হয়েছে টেকনাফের আশেপাশের অঞ্চলেও।রোববার দুপুর বারোটার পর ঘূর্ণিঝড়টি সেন্টমার্টিন অতিক্রম শুরু করেছে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান দুপুর একটায় সাংবাদিকদের বলেন, সেন্টমার্টিন অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতি রয়েছে ১০০ কিলোমিটার এবংর টেকনাফে গতি ৮২ কিলোমিটারের মতো।তবে বাতাসের গতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ব্রিফিংয়ের মধ্যে সেন্টমার্টিনের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা একজন আবহাওয়া কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন আজিজুর রহমান।ওই কর্মকর্তা জানান, প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বয়ে যাচ্ছে সেন্টমার্টিনের ওপর দিয়ে। বাতাসের গতি ক্রমশ বাড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্রের ভবন বাতাসে দুলছে। বেলা ১১টার পর থেকে জোয়ারে প্রবণতা শুরু হয়েছে। নাফ নদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেলা তিনটা থেকে চারটার দিকে প্রবল জোয়ারে উঁচু জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের একটানা ঘূর্ণন গতি উঠছে ১৯৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২ টা নাগাদ উপকূলে উঠে বিকেল তিনটার মধ্যে তিনটার নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে। বিকেল থেকে ঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে এবং তখন গতি কমে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটারে নেমে আসবে বলেও জানান তিনি। তবে ভূমিতে উঠে যাবার পর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। আর টেকনাফ উপকুল অতিক্রম করার সময় বিশেষ করে বেলা তিনটার দিকে উঁচু জলোচ্ছ্বাস হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

শনিবারই কক্সবাজার জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় এনেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরসহ উপকূলীয় আরও ১১ জেলাকে রাখা হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। বাকি ১০ জেলায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধস হতে পারে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফসহ কক্সবাজারে দক্ষিণ অংশে প্রবল বর্ষণ হবে। আজিজুর রহমান সকালে বলেন, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আঘাত হানার পিক সময় হতে পারে ১২টা থেকে তিনটার মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়টির চোখ টেকনাফ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে। মূল কেন্দ্র আছড়ে পড়বে মিয়ানমার ভূমিতে। ঘূর্ণিঝড়ের বাম পাশ বাংলাদেশ অংশে থাকায় টেকনাফসহ কক্সবাজারের দক্ষিণ অংশে ঝড়ের আওতায় পড়ে গেছে।  এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK