মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ঢাকা সময়: ১৩:৩৪
ব্রেকিং নিউজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ তৈরি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ তৈরি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

উত্তরণবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় জাল সনদ, নম্বরপত্র এবং এগুলো তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরা ও লালবাগ এলাকায় ৪ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতু, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপু। তারা বাসার ভেতরেই এসব জাল সার্টিফিকেট মার্কশিট তৈরি করতেন এবং লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করতেন।৫ মে শুক্রবার ডিবি’র লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই টাকার বিনিময়ে চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন, বিভিন্ন বোর্ডের সেকেন্ডারি, হায়ার সেকেন্ডারি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা বোর্ড-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূল কাগজ দিয়েই মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তৈরি করত। এরপর সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করত, যাতে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়। মশিউর রহমান বলেন, জিয়াউর ও মিতুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে দামি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ব্ল্যাংক মার্কশিট ও সার্টিফিকেট জব্দ করা হয়। তিনি আরও বলেন, অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এমন বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশকিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত নুরুন্নাহার মিতু ছাড়া অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন মশিউর রহমান।
উত্তরণবার্তা/এআর

  মন্তব্য করুন
     FACEBOOK